দণ্ডিত মানিকের সাজা লাঘব : মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন

মেহেরপুর পাটকেলপোতার স্কুলছাত্রী লুবনা নাহিদ দীপা হত্যা মামলা : সুপ্রিমকোটের আপিল বিভাগের রায়
বারাদী প্রতিনিধি: মেহেরপুর জেলা সদরের বারাদী পাটকেলপোতার মানিককে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলতে হচ্ছে না। গ্রামেরই স্কুলছাত্রী লুবনা হত্যার দায়ে মেহেরপুর জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। উচ্চ আদালত মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডের সাজা লাঘব করে দণ্ডিত মানিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। শুনানি শেষে গতকাল সোমবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ এ রায় প্রদান করেন বলে সংশ্লিষ্টসূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা সদরের পিরোজপুর ইউনিয়নের পাটকেলপোতা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আজিজুর রহমানের একমাত্র মেয়ে লুবনা নাহিদ দীপা বারাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলো। ২০০৩ সালের ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় গ্রামের অপর পাড়া থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘাতকের কবলে পড়ে। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতক মানিকের বাড়ির অদূরে অর্ধবিবস্ত্র করে মৃতদেহ ফেলে রাখে। পরদিন সকালে উদ্ধার করা হয় লাশ। পরবর্তী বছরে তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিলো। এ হত্যার প্রতিবাদে এলাকার সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামে। মিছিল মিটিং মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। লুবনার পিতা আজিজুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গ্রামেরই আক্তার ফেরদৌসের ছেলে মানিককে গ্রেফতার করে। তদন্তে আরো কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও মানিকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রমাণিত হয়। আদালত মানিকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। শুনানি শেষে উচ্চ আদালতও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোটের আপিল বিভাগে আপিল করা হয়। শুনানি শেষে সুপ্রিমকোটের আপিল বিভাগ দণ্ডিত মানিকের মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।
গতকাল সোমবার এ রায় জানার পর মামলার বাদী আজিজুর রহমান বলেছেন, মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য চেষ্টায় কমতি ছিলো না। অপরদিকে দণ্ডিত মানিককে দীর্ঘদিন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির সেলে রাখা ছিলো।