সেনা নামানো নিয়ে দু মন্ত্রীর দু মত

স্টাফ রিপোর্টার: চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে সরকারের দু মন্ত্রী দু রকম বক্তব্য দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, দেশে সেনাবাহিনী নামানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ, ৱ্যাব ও বিজিবিই যথেষ্ট। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথবাহিনীর মাধ্যমে অভিযান চালানো হবে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, যৌথবাহিনী বলতে যদি সেনাবাহিনী বলেন, আমি বলব-না। প্রশ্নই আসে না। সেনাবাহিনী নামানোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তিনি বলেন, আমি বরাবর বলে আসছি। এটা আন্দোলন নয়। এটা চোরাগোপ্তা হামলা। এটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য করা হচ্ছে। মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য করা হচ্ছে। সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কামাল বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানমাল ও জননিরাপত্তা রক্ষার জন্য আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করছে।

প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, অবরোধের নামে নাশকতাকারীরা পশুর মতো কাজ করে যাচ্ছে। তাদের প্রতিরোধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করবে। রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দগ্ধদের দেখতে যান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের মানুষকে ভালোবাসে তারা এ ধরনের নাশকতা চালাতে পারে না। নাশকতকারীরা জনগণের বন্ধু নয়। তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। নাশকতার শিকার দগ্ধ মানুষের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৩৪ জন ভর্তি হয়েছিলো বর্তমানে ১৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।