নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট : সাংবাদিকসহ আহত ২

চুয়াডাঙ্গাআলমডাঙ্গা সড়কের বদরগঞ্জ মাঠের রাস্তায় গাছ ফেলে গডাকাতি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা মহাসড়কের বণ্ডবিল বদরগঞ্জ মাঠের মধ্যে সড়কের ওপর গাছ ফেলে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল ভোর ৫টার দিকে সড়কের ওপর গাছ ফেলে গতিরোধ করে একটি মাইক্রোবাস, একটি পিকআপ (মিনিট্রাক) ও ৩টি আলমসাধুতে গণহারে ডাকাতি করে। মাইক্রোবাসে যাত্রীদের কাছে থেকে ১২টি মোবাইলফোন, সোনার অলঙ্কারসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতির স্বীকার মাইক্রোবাস যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিদিন রোয়াকুলি গ্রামের রেলগেটের কাছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ থাকলেও ঘটনার দিন পুলিশ ছিলো না। থানা পুলিশের কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গতপরশু শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা মহাসড়কের বণ্ডবিল বদরগঞ্জ মাঠের মধ্যে সড়কের ওপর গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা একটি মাইক্রোবাসের ১০ জন যাত্রীর কাছে থেকে ৯টি মোবাইলফোন, নগদ টাকা ও সোনার গয়নাগাটি লুট করে। এছাড়া একটি মিনিট্রাক (পিকআপ) ডাকাতির কবলে পড়ে তাদের কাছে থেকেও নগদ টাকাসহ মোবাইলফোন ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ৩টি আলমাসাধুর গতিরোধ করে যাত্রীদের কাছে থেকে নগদ টাকা ও মোবাইলফোন ডাকাতি করে।

মাইক্রোবাসের যাত্রী দামুড়হুদার নতিপোতা এলাকার আশরাফুল, জেসমিন, মরিয়ম, সজিব, রানা, দৈনিক মাথাভাঙ্গার সাংবাদিক তৌহিদ তুহিনসহ চুয়াডাঙ্গা বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ারের কম্পিউটার অপারেটর রাজু জানান, গতপরশু ভোর ৫টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে মাস্টার্স পরীক্ষার জন্য নতিপোতা থেকে মাইক্রোবাসযোগে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে বের হই। আলমডাঙ্গার বদরগঞ্জ বণ্ডবিল মাঠের মধ্যে সড়কের ওপর গাছ পড়ে থাকতে দেখে চালক গতি থামিয়ে দেন। এ সময় চর্তুদিক থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১০/১২ জনের একটি ডাকাতদল ঘিরে ফেলে। সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১০ জন যাত্রীর কাছে থাকা নগদ টাকা, ৯টি মোবাইলফোন, ৩টি সোনার চেন, ৪টি সোনার আংটি, কানের দুলসহ নাকফুল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এছাড়া সাংবাদিক তৌহিদ তুহিনকে পিটিয়ে জখম করে ডাকাতেরা।

অপরদিকে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার মিনিট্রাক ও চালক মহন জানান, ভোরে গাড়িতে ভাংড়ি লোড দিয়ে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে ভোরে আলমডাঙ্গার বণ্ডবিল নামক স্থানে আলমডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা সড়কের ওপর গাছ ফেলে গাড়ির গতিরোধ করে ১০/১২ জনের ডাকাতদল কাছে থাকা ৭ হাজার টাকাসহ ২টি মোবাইলফোন ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এছাড়া পিকআপে থাকা কার্পাসডাঙ্গার কুতুবপুর গ্রামের ভাংড়ি মালিক রশিদের কাছে থাকা ১টি মোবাইলফোন নগদ টাকা ডাকাতির সময় ধস্তাধস্তির সময় তার পিঠে ধারালো দায়ের কোপ মারে ডাকাতেরা। তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মিনিট্রাকের মালিক দৈনিক মাথাভাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি সাংবাদিক শরিফ রতনের বলে জানা গেছে। এছাড়া ৩ আলমসাধুচালককে মারধর ও নগদ টাকা ডাকাতি করে বলে জানান। ডাকাতির স্বীকার ব্যক্তিরা অভিযোগ করে জানান, পথিমধ্যে ঘোড়ামারা ব্রিজের নিকট পুলিশের ডিউটিরত দেখা গেলেও রোয়াকুলি রেলগেটে ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার সীমানা গেটের কাছে কোনো পুলিশ ছিলো না।

এলাকাবাসী জানায়, প্রতিদিন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ডিউটি পুলিশকে রোয়াকুলি গ্রামের রেলগেটের সামনে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কোনো কোনো দিন আলমডাঙ্গা পৌরসভার সীমানা গেটের কাছে ডিউটি করতে দেখা যায়। পৌরসভার সীমানা গেটের প্রায় দেড়শ গজ দূরে এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ তুলেছে।