ফ্রান্সে পত্রিকা অফিসে হত্যা : ২ ভাইয়ের খোঁজে পুলিশ : আত্মসমর্পণ ১
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিদ্রুপ ম্যাগাজিন শার্লি এবদুর অফিসে হামলার একদিন পরই ফের গুলির ঘটনায় এক নারী পুলিশ নিহত এবং আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে এ হামলা ও গোলাগুলির সাথে শার্লি এবদু পত্রিকার হামলাকারীদের যোগসাজশ আছে কি-না তা এখনো নিশ্চিত নন কর্মকর্তারা। খবরে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার প্যারিসের দক্ষিণে অবস্থিত নোগুজে শহরতলীতে অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি গুলি চালালে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে। নোগুজের মেয়র পিয়্যা বোসোলেত্ত বলেছেন, ওই নারী পুলিশ তার এক সহকর্মীকে নিয়ে ট্রাফিক দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সে সময়ই একটি গাড়ি এসে থামে এবং এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে বের হয়ে তাদের ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। অপরদিকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোর দপ্তরে হামলাকারী হিসেবে সন্দেহজনক দু ভাইকে খুঁজছে ফরাসি পুলিশ। এরই মধ্যে তৃতীয় এক সন্দেহজনক আত্মসমর্পণ করেছে। হামলায় নিহতদের স্মরণে ফ্রান্সে বৃহস্পতিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়। ফরাসি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার ওই পত্রিকার দপ্তরে গুলি চালিয়ে ১২ জনকে হত্যার ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে সন্দেহজনক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- সাঈদ কৌচি (৩৪) ও তার ভাই চেরিফ কৌচি (৩২) এবং হামিদ মুরাদ (১৮)। এর মধ্যে হামিদ উত্তর-পূর্ব ফ্রান্সের একটি পুলিশ স্টেশনে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বলেন, চার্লেভাইল-মেজিয়েরেস পুলিশ স্টেশনে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১১টায় হামলায় জড়িত এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে হামলার ঘটনায় জড়িত হিসেবে নিজের নাম দেখতে পেয়ে হামিদ স্বপ্রণোদিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে। আত্মসর্পণকারী কিশোর একজন গৃহহীন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এর আগে পুলিশ সাঈদ ও চেরিফ দু ভাইয়ের ছবিসহ পরিচয় প্রকাশ করে। তারা আত্মসমর্পণকারী ওই কিশোরকে নিয়ে ঘটনার পর একটি প্রাইভেটকারে করে পালিয়ে যায় বলে জানানো হয়েছে। গাড়িটি উত্তর প্যারিস থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সন্দেহজনক দু ভাইয়ের সাথে সম্পর্কিত আরো কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্যারিসে বুধবারের ওই হামলায় নিহত ১২ জনের মধ্যে ১০ জন সাংবাদিক ও দুজন পুলিশ।