স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ নন, গুলশানের কার্যালয়ে থাকার জন্য ৩ দিন আগেই খাটসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়েছিলেন। তিনবার গদি পরিবর্তন করেছেন। আর এখন অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও এবং মানুষ হত্যা করছেন। এ ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম মেনে নেয়া হবে না। নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি ভুল করেছে। এর খেসারত জনগণ দেবে না।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তারমতে, গ্যাস বিক্রির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হতে পারেনি তার দল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণআন্দোলনের নামে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। খুন ও জানমালের ক্ষতি করে বিএনপি নেত্রী জামায়াতের কাজগুলো করে দিচ্ছেন। অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াওকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাধা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদানের জন্য চারজনকে স্বর্ণপদক দেয়া হয়। এরা হলেন- ভারতের ড. অশোক মিত্র, বাংলাদেশের প্রয়াত ড. মুশাররফ হোসেন, প্রয়াত গভর্নর লুৎফর রহমান সরকার এবং অধ্যাপক ড. নূরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে ভুল করে। এরপর নির্বাচন বানচালের জন্য এমন কিছু নেই যা তারা করেনি। মানুষ হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও, গাছ কাটা, রেলপথ উপড়ে ফেলেছে। গরু পর্যন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। এর উদ্দেশ্যে ছিল জামায়াতকে নির্বাচনের বৈধতা দেয়া। বিএনপির কোনো কর্মসূচির সাথে জনসম্পৃক্ততা ছিলো না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনও তারা তাই করছে। মানুষ পুড়িয়ে মারা, বাসের ঘুমন্ত ড্রাইভারকে পোড়ানো, যাত্রীদের গায়ে আগুন দেয়া- এগুলো কোনোভাবেই গণআন্দোলন নয়। এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আরও ৪ বছর ক্ষমতায় আছি। এরমধ্যে দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশ কমিয়ে আনবো। এছাড়াও ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। তিনি বলেন, হয়তো ওই সময় পর্যন্ত আমি বেঁচে নাও থাকতে পারি। তবে আমরা অর্থনীতির যে কাঠামো করে দেবো, তাতে ওই পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হবে।