মুজিবনগরের গরু রাখালের মরদহে ফেরত দিলো বিএসএফ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার সুটিয়া গ্রামবাসীর হামলায় নিহত

 

মুজিবনগর প্রতিনিধি: ভারতের সুটিয়া গ্রামবাসীর হামলায় নিহত মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের গরুর রাখাল বদর উদ্দীনের (২৮) মরদেহ ফেরত পেয়েছে তার পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুজিবনগর সীমান্তের ১০৫ নম্বর মেন পিলার এলাকায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও বিএসএফ’র কাছ থেকে মরদেহ গ্রহণ করেন মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

গত শনিবার রাতে সোনাপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতের নদীয়ার সুটিয়া গ্রামে গরু কিনতে গেলে স্থানীয় লোকজনের হাতে বদর উদ্দীন ও তার ভাই আব্দুল কুদ্দুস (৩০) এবং মেহেরপুর শহরের বিপ্লব হোসেনকে আটক হন। রোববার সকালে গণপিটুনিতে মারা যান বদর উদ্দীন।

মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম ভারতের নদীয়া জেলার পুলিশ সুপারের সাথে টেলিফোনে আলাপ করে মরদেহ ফেরতের দাবি জানান। এর প্রেক্ষিতে নদীয়ার চাপড়া থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার রক্তিম চ্যাটার্জির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মরদেহ নিয়ে সীমান্তে আসেন। মরদেহ গ্রহণ করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মুজিবনগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু তাহের ও ভারতের হৃদয়পুর বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার রাম আবদারসহ বিবিজি-বিএসএফ সদস্যবৃন্দ।

গ্রামবাসীর হাতে আটক আব্দুল কুদ্দুস ও বিপ্লবকে চাপড়া থানা পুলিশ গ্রেফতার দেখিয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে দায়ের করা মামলায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে চাপড়া থানা পুলিশ। তবে তারা দুজন এখন পুলিশ প্রহরায় কৃষ্ণনগরের শান্তিনগর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান ওসি রবিউল ইসলাম।

গতকাল রাত ৮টায় সোনাপুর গ্রাম্য কবরস্থানে নিহত বদর উদ্দীনের দাফন করা হয়েছে।

নিহত পরিবারের পরিচয়: তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে বদর উদ্দীন ছিলেন তৃতীয়। তার স্ত্রী বিলকিচ খাতুন। তার এক ছেলে ইয়াছিন (৫) প্রথম শ্রেণিতে লেখা পড়া করে এবং ছোট মেয়ে বুড়ির বয়স (১) বছর।

Leave a comment