মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের বিচারে সামরিক আদালত গঠন বিল আইনপ্রণেতাদের ভোটে পাস হয়েছে। প্রয়োজনীয় দু-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের চেয়েও ১৪টি বেশি ভোটে বিলটি পাস হয়। পার্লামেন্টে উপস্থিত ২৪২ আইনপ্রণেতা সর্বসম্মতভাবে বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে ধর্মীয় দলগুলোর আইপ্রণেতারাসহ ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিরোধীদল ভোটদানে বিরত ছিলো। আইনটি এখন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাস হবে এবং প্রেসিডেন্ট এ সপ্তায়ই এটি সই করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ ধরনের আদালত প্রতিষ্ঠা হলে তা অন্তত দু বছর কাজ করবে। পেশোয়ারে গত ১৬ ডিসেম্বরে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে বড় ধরনের তালেবান হামলার পর বিশেষ সামরিক আদালত গঠনের এ উদ্যোগ নিচ্ছে পাকিস্তান সরকার। তালেবান হামলা ঠেকাতে সামরিক আদালত গঠনের বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনীতিবিদই একমত পোষণ করেছেন। তবে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান প্রবণতার কারণে সামরিক শক্তির এ নাটকীয় প্রসার নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে কেউ কেউ। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিম বাজওয়া ট্যুইটারে এক বার্তায় বলেছেন, বিশেষ আদালত সেনাবাহিনীর কাঙ্ক্ষিত বিষয় নয় বরং সময়ের দাবি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার আগের পদ্ধতিই চালু হবে। পাকিস্তানের তালেবান নেতা মোল্লা ফজলু্ল্লাহ সোমবার শিশুদের ওপর আরো হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে ভিডিও প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী বলছে, দেশে তালেবান বিদ্রোহ একটি যুদ্ধের সামিল। সে কারণেই এখানে সামরিক আদালত ব্যবস্থা চালুর দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হচ্ছে।