চুয়াডাঙ্গায় জালটাকা কারবারী দুজনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার: জালটাকা ব্যবহার ও হেফাজতে রাখার দায়ে চুয়াডাঙ্গার দুজনের ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আনাদায়ে আরও দু বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিপ্লব গোস্বামী আসামিদের উপস্থিতে জনাকীর্ণ আদালতে এ দণ্ডাদেশ দেন। মামলার অপর আসামি চুয়াডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার আলিজা খাতুনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা নান্টুরাজ সিনেমাহলের অদূরে জনগণের জটলা দেখে টহল পুলিশ উপস্থিত হয়। টহল পুলিশের তৎকালীন এসআই নাজমুল হাসান জনগণের মাঝ থেকে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও কাওছার আলীকে আটক করেন। এদের নিকট থেকে ১১১টি একশ টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়। এসআই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সদর থানার তৎকালীন ওসি তদন্ত ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন মামলার তদন্তভার পান। তিনি তদন্ত শেষে চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজপাড়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, চুয়াডাঙ্গা পুরাতন হাসপাতালপাড়ার রমজান আলীর ছেলে কাওছার ও মাঝেরপাড়ার আলিজা খাতুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার শুরু হয়। বিজ্ঞ আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে আসামিদের মধ্যে সিরাজুল ও কাওছারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর এ (বি) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে উপরোক্ত দণ্ডাদেশ দেন। আলিজার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সাক্ষ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে প্রমাণিত না হওয়া তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের আদেশ দেয়া হয়।

Leave a comment