আঁধার ঘরে চাঁদের আলো

শাহনেওয়াজ খান সুমন: জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সানোয়ার হোসেন শান্তর। সে এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় ভাতুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার বাবা মো. আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সংসার ছেড়ে দ্বিতীয় বউকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন। মা মোছা. রাবেয়া বেগমই তার একমাত্র ভরসা। অধিকাংশ সময় পরের বাড়িতে কাজ করে দু ছেলের মুখে দু বেলা দু মুঠো ভাত তুলে দেন। কখনো কখনো অনাহারে অর্ধাহারে তাদের সংসার চলে। শান্তকে পড়ার খরচ যোগাতে মাঝে মাঝে পরের ক্ষেতে কাজ করতে হয়। তাছাড়া সে নিজ উদ্যোগে পরের খেজুরগাছ থেকে ওলা রস সংগ্রহ করে জ্বাল দিয়ে গুড় বানিয়ে বিক্রি করে। সময় পেলেই অন্যের পানক্ষেতে বা শিমক্ষেতে কাজ করে নিজের পড়ালেখার খরচসহ সংসারের খরচ চালায়। তাছাড়া নদীর চরের জেগে ওঠা জমিতে ইরি-বোরো ধানচাষ করেও সাময়িক খাবারের চাহিদা মেটায়। ২০১১ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায়ও সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলো। শান্ত লেখাপড়া শিখে ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে সমাজের বৃত্তহীনদের সেবা দিতে চায়। তার লেখাপড়া খরচ চালিয়ে যেতে সমাজের বৃত্তবানদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

Leave a comment