স্টাফ রিপোর্টার: বেসামরিক সরকারি চাকরিজীবীদের বৃদ্ধির সাথে মিল রেখেই সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, বিমান ও নৌ) সদস্যদের বেতনও প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি। সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয় এ কমিটি। কমিটির প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আনোয়ার হোসেনসহ অন্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি গঠিত সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি আট সদস্যের এ কমিটিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবসহ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর সাতজন প্রতিনিধি রয়েছেন।
বেসামরিক সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ২০ ধাপের (গ্রেড) পরিবর্তে ১৬ ধাপের সুপারিশ করেছে জাতীয় চাকরি ও বেতন কমিশন। সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটিও নিজেদের জন্য ১৬ ধাপের সুপারিশ করেছে। প্রতিবেদন দাখিলের পর আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জেনারেলদের জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ, লেফটেন্যান্ট জেনারেলদের জন্য ৮৮ হাজার, মেজর জেনারেলদের জন্য ৮০ হাজার এবং সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত বেসামরিক চাকরিজীবীদের (নন-কমপেন্ডেট এনরোলমেন্ট) জন্য সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২০০ টাকা বেতনকাঠামোর সুপারিশ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে সেকেন্ড লেফটেন্যান্টদের জন্য ৩০ হাজার, লেফটেন্যান্টদের জন্য ৩২ হাজার, ক্যাপ্টেনদের জন্য ৩৭ হাজার, মেজরদের জন্য ৪৫ হাজার, লেফটেন্যান্ট কর্নেলদের জন্য ৫২ হাজার, কর্নেলদের জন্য ৬০ হাজার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেলদের জন্য ৭০ হাজার টাকা সুপারিশ করা হয়েছে। বেসামরিকের ক্ষেত্রে সচিবদের জন্য যেমন ৮০ হাজার টাকার বাইরে অতিরিক্ত আরও চার হাজার অর্থাৎ ৮৪ হাজার টাকার সুপারিশ রয়েছে, সামরিকের ক্ষেত্রে এই ৮৪ হাজার টাকা সুপারিশ করা হয়েছে মেজর জেনারেলদের জন্য। সৈনিক ও জুনিয়র কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বেতনকাঠামোও জানা গেছে। এর মধ্যে এনসি (ই) ৯ হাজার, সৈনিক ৯ হাজার ৫০০, ল্যান্স করপোরাল ১০ হাজার ৫০০, করপোরাল ১১ হাজার ৫০০, সার্জেন্ট ১৭ হাজার, ওয়ারেন্ট কর্মকর্তা ২৫ হাজার, সিনিয়র ওরেন্ট কর্মকর্তা ২৭ হাজার, চিফ আর্টিফিশার ২৮ হাজার এবং মাস্টার ওয়ারেন্ট কর্মকর্তার বেতনকাঠামো ২৯ হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে।