প্রত্যাশার নতুন সূর্য

স্টাফ রিপোর্টার: স্বপ্ন আর দিনবদলের অপরিমেয় প্রত্যাশার রক্তিম আলোয় উদ্ভাসিত শুভ নববর্ষ। হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০১৫। অভিবাদন নতুন সৌরবর্ষকে। বিশ্বের বয়স আরও এক বছর বাড়লো। এক বছরের আনন্দ-বেদনা, আশা-নৈরাশ্য আর সাফল্য-ব্যর্থতার পটভূমির ওপর আমাদের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এ প্রিয় বাংলাদেশ নতুন বছরে পর্বতদৃঢ় একতায় সর্ব বিপর্যয়-দুঃসময়কে জয় করবে অজেয়-অমিত শক্তি নিয়ে- এ সংকল্পের সোনালি দিন আজ। আলোড়ন আর তোলপাড় করা ঘটনাবহুল ২০১৪-এর অনেক ঘটনার রেশ নিয়েই মানুষ এগিয়ে যাবে। তবে আঁধার কাটার অনেক আশ্বাসবাণী শুনিয়েছে আবার কোনটি শোনাতে পারলো না ২০১৪। ভাগ্যাকাশে আনন্দ-বেদনা প্রত্যাশা আর দুর্যোগের ঘনঘটা নিয়েই বছর ফুরোল। সূচনা হলো আরো একটি বর্ষযাত্রা।

কতকটা রাজনৈতিক হানাহানিতে আরম্ভ বিগত বছরটি তার পরিসমাপ্তি পর্বেও সেই ছায়াপাত রেখে গেলো। বছরের বিদায় ও শুরুর দিন দুটিই দেশবাসীকে হরতালের মুখোমুখি হতে হলো। বিদায়ী বছরে দশম সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চরম রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিলো বছরটির। ২০১৪ সালের প্রথম দিনটি যখন শুরু হয়, তখন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছিলেন কার্যত গৃহবন্দী। এরই মধ্যে ৫ জানুয়ারিতে হলো সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। ওই নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়ে দেশজুড়ে চলে অভাবনীয় সহিংসতা। জনগণের জানমালের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবুও নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয় বিরোধী জোট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ১৫৩ এমপি। বিরোধী জোট এ নির্বাচনকে ভোটারবিহীন নির্বাচন বলে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি করে। নির্বাচন শেষ হলেও নির্বাচন প্রতিরোধের নামে যা হয়েছে তা সুখকর নয়। বিএনপির আন্দোলনের সাথে জামায়াতে ইসলামীর সহিংসতা মিলে বছরের শুরুটা ছিল মৃত্যুদীর্ণ, আগুনে পোড়া, বোমায় বিধ্বস্ত, শোকাতুর। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে আন্দোলনের পালে টান পড়ে। এবারও আন্দোরনের পূর্বাভাসেই নতুনবছরে দেশবাসীর যাত্রা। যদিও পূর্বাকাশে আজ উদিত নতুন বছরের সূর্য। পারবে কি স্বস্তির প্রত্যাশা পুরন করতে?