যশোর বোর্ডের শীর্ষে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ : চুয়াডাঙ্গার সেরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়

পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ : সারাদেশে জেএসসিতে পাস ৮৯ দশমিক ৮৫ ও জেডিসিতে ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল গতকাল সারাদেশে একযোগে প্রকাশিত হয়েছে। পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত জেএসসি (অষ্টম শ্রেণি) পরীক্ষায় আটটি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জেডিসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। সার্বিক পাসের হার ৯০ দশমিক ৪১ শতাংশ। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার বাড়লেও জিপিএ-৫ কমেছে। এবার জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪৫ জন। গতবার ছিলো ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৯৭ জন। এবার জেডিসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৯ হাজার ২৯০ জন। গতবার এ সংখ্যা ছিলো সংখ্যা ছিলো ১৯ হাজার ২১১ জন। মোবাইল এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীরা ফল সংগ্রহ করে। তবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা বিড়ম্বনায় পড়েন।

গতবারের মতো এবারও বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯২ শতাংশ; যা আট বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সাধারণ শিক্ষাবোর্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে ঢাকা বোর্ড থেকে। এ বোর্ডের ৪৬ হাজার ১৮৮ জন ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। যশোর বোর্ডে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিলো ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৪ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৯ জন। পাসের হার ৯১ দশমিক ৯৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৬৮৫ জন। এ বোর্ডে প্রথম হয়েছে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ। আর চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে পাসের শতকরা হারে অন্য বিদ্যালয়গুলোকে টপকে গেছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৮৬ আর ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৯৭ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। মেহেরপুর জেলার সেরা দশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫২ জনে ৫০ জন পাস এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন। সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮৭ জনে শতভাগ পাস। এছাড়াও মিকুসিস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় শতভাগ পাস করেছে।

ঢাকা বোর্ডে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিলো ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫৩৯ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ লাখ ৮২ হাজার ৭৬৮ জন। রাজশাহী বোর্ডে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিলো ২ লাখ ৫১৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৩০ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৩২ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ হাজার ৬০৬ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে এই বোর্ডে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার ৬১৭ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৫৩ জন। পাসের হার ৮৪ দশমিক ২৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৪৮৭ জন। এ বোর্ডে প্রথম হয়েছে খাস্তোগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বরিশাল বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলো ৯৬ হাজার ৪৬৮ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৪ হাজার ৪৬৬ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৮৫ জন। ফলাফলে এই বোর্ডে প্রথম স্থানে রয়েছে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ। সিলেট বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলো ১ লাখ ৯ হাজার ৪৮৫ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ২৫৫ জন। পাসের হার ৯১ দশমিক ৫৭ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১০ জন। এ বোর্ডে প্রথম হয়েছে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ। দিনাজপুর বোর্ডে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিলো ১ লাখ ৯৫ হাজার ১২৭ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১০ জন। পাসের হার ৯০ দশমিক ১০ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৪২০ জন। বোর্ডে প্রথম হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, রংপুর।

এবার জেলা জেএসসি পরীক্ষায় জেলার শীর্ষে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার ৯৭.৮৬ ভাগ। ২৩৪ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এ বিদ্যালয় থেকে। পাস করেছে ২২৯ জন পরীক্ষার্থী। এদিকে জেলার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে এবার ২৪৩ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পাস করেছে ২৩৬ জন পরীক্ষার্থী। পাসের হার ৯৭.১১ ভাগ।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৯ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়াও এ গ্রেড পেয়েছে ১০৭ জন, এ- পেয়েছে ৪২ জন, বি গ্রেড পেয়েছে ১৩ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ৪ জন পরীক্ষার্থী। অপরদিকে ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮১ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়াও এ গ্রেড পেয়েছে ৯২ জন, এ- পেয়েছে ৩৪ জন, বি গ্রেড পেয়েছে ২৩ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ১ জন পরীক্ষার্থী।

হাজরাহাটি-তালতলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১১৩ জন। পাস করেছে ৮৪ জন পরীক্ষার্থী। আলুকদিয়া রোমেলা খাতুন মাধ্যমিক বালকা বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৯২ জন। পাস করেছে ৮৩ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। হাজরাহাটি মাধ্য্যমিক বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ২০৩ জন। পাস করেছে ১৭৪ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১৪২ জন। পাস করেছে ২২০ জন পরীক্ষার্থী। নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৫১ জন। পাস করেছে ৪৫ জন পরীক্ষার্থী। চুয়াডাঙ্গা আদর্র্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১০২ জন। পাস করেছে ৮৪ জন পরীক্ষার্থী। চুয়াডাঙ্গা একাডেমী মোট পরীক্ষার্থী ১২৬ জন। পাস করেছে ১০৭ জন পরীক্ষার্থী। রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমী মোট পরীক্ষার্থী ৭৪ জন। পাস করেছে ১০৭ জন পরীক্ষার্থী। নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ২২০ জন। পাস করেছে ৬৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। সোহরাওয়ার্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠে মোট পরীক্ষার্থী ১৩৯ জন। পাস করেছে ১১৬ জন পরীক্ষার্থী। মাখালডাঙ্গা-দীননাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১০০ জন। পাস করেছে ৭৯ জন পরীক্ষার্থী। কুকিয়া-চাঁদপুর আইডিয়াল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৪৭ জন। পাস করেছে ৩৩ জন পরীক্ষার্থী। এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১৬৯ জন। পাস করেছে ১২৭ জন। ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১২৮ জন। পাস করেছে ১০৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। আল হেলাল নিম্ন মাধ্যমিক ইসলামিক একাডেমী মোট পরীক্ষার্থী ২১ জন। পাস করেছে ১৭ জন। সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৭২ জন। পাস করেছে ৬২ জন। কাথুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৯৫ জন। পাস করেছে ৭১ জন।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ২৯৪ জন। পাস করেছে ২৭৭ জন। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৭৬ জন। পাস করেছে ৬৭ জন। তিওরবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ৫৮ জন। গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৩ জন। মোহাম্মদজমা ডিএএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪০ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩৪ জন। শ্রীকোল-বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০১ জনের মধ্যে পাস করেছে ৮০ জন। আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৪৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ১৩৬ জন। ডিঙ্গেদহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯৪ জনের মধ্যে পাস করেছে ৮২ জন। খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ১০৫ জন। তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯৪ জনের মধ্যে পাস করেছে ৯৩ জন। কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৭ জনের মধ্যে পাস করেছে ৫১ জন।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় একযোগে জেএসসি, জেডিসি, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও এবতেদায়ি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান লিটিল এনজেলস ইন্টার ন্যাশনাল স্কুল উপজেলার শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে বলে ঘোষণা দিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূরজাহান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহাসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলায় মোট ৩৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দু হাজার ৯৮৪ জন ছাত্র/ছাত্রী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৫১ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৮২ ভাগ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ জন। ৩৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে কেরু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৬ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলার শীর্ষ স্থান লাভ করেছে। দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৫ জন জিপিএ-৫ পেয়ে ২য় এবং গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় ৩য় স্থান অধিকার করেছে। উপজেলার ১১টি মাদরাসা থেকে মোট ৬০৭ জন ছাত্রছাত্রী জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৫২৫ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৮৬ ভাগ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১১৫টি সরকারি, ২২টি কিন্ডারগার্টেন এবং ২৮টি আনন্দ স্কুলের মোট ৪ হাজার ৯৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪ হাজার ১৭৫ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৬৯৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩০ জন। পাসের হার ৮৬ ভাগ। দর্শনা লিটিল এনজেলস ইন্টার ন্যাশনাল স্কুল থেকে মোট ১৯ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলার শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। পূর্ব রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৫ জন জিপিএ-৫ পেয়ে দ্বিতীয় স্থান এবং কানন বিদ্যাপীঠ ও অঙ্কুর আদর্শ বিদ্যালয় থেকে ১০ জন করে জিপিএ-৫ পেয়ে যৌথভাবে ৩য় স্থান লাভ করেছে। উপজেলায় মোট ১৩টি মাদরাসা থেকে ৬৯০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৫৮৭ জন এবতেদায়ি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৫০৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পাসের হার ৮৬ ভাগ।

কার্পাসডাঙ্গা/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে পাশ করেছে ১০১ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫ জন, কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৭১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে পাশ করেছে ৬৭ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন, সদাবরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে পাশ করেছে ২৫ জন, কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২০ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১১৯ জন পাশ করেছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ জন, কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৪৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৪০ জন পাশ করছে। পীরপুরকুল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৬ জনের মধ্যে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৮ জনের মধ্যে ২২ জন পাস করেছে। তালসারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫১ জনের মধ্যে ৪৫ জন পাস করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৬ জনের মধ্যে ৬৮ জন পাস করেছে। নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ৫৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, জেএসসি পরীক্ষায় উপজেলায় মোট পাসের হার শতকরা প্রায় ৮৯ ভাগ। মোট ৪ হাজার ২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৫৯৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮১ জন। সর্বাধিক ১৬টি জিপিএ-৫ পেয়েছে আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে।

উপজেলার আলমডাঙ্গা বহুমুখি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন। আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ২০৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২০৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫২ জন। কাঁটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭২ জন। আইলহাস লক্ষ্মীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৮ জন। খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১২ জন। কায়েতপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। ভাংবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯০ জন। ঘোলদাড়ি বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। হাটবোয়ালিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১০৮ জন। বাদেমাজু বাদল স্মৃতি একাডেমীতে ৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫১ জন। এনায়েতপুর বাড়াদী আলহাজ মীর খোস্তার আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৬ জন। ওসমানপুর প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৭ জন। সিএইচআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১১ জন। গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৫৭ জন। মুন্সিগঞ্জ একাডেমীতে ১২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪২ জন। পাঁচকমলাপুর আলিয়াটনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৪ জন। ভোগাইলবগাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। বড়গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১০১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। জেসিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। কুমারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। বশিরা মালিক ডাউকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৪ জন। বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। ভোদুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫০ জন। পাঁচলিয়া জামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৪ জন। সেবাবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। হাড়োকান্দি-বলেশ্বরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৮ জন। জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। মীর সামছুদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। পাইকপাড়া জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। এরশাদপুর একাডেমীর ৮২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭২জন। খাসকররা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ২৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৬ জন। ঘোলদাড়ি বাজার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৪৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৯ জন। জামজামি মাধ্যমিক বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। হাটবোয়ালিয় মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের ৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪০ জন। আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩৭ জন। মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ১৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। সপ্তগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৭ জন। ওসমানপুর লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যালয়ে ১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৯ জন। খেজুরতলা বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। মাধবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৬ জন। পুলতাডাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৪ জন। ব্রাইট মডেল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৮ জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন।

জেডিসি পরীক্ষায় উপজেলায় মোট পাসের হার প্রায় ৯১ ভাগ। মোট ৩২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৯০ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। শতভাগ পাস করেছে ওসমানপুর প্রাগপুর ফাজিল মাদরাসা, আলমডাঙ্গা সিদ্দিকিয়া আলিম মাদরাসা ও কেইউপি দাখিল বালিকা মাদরাসা।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে উপজেলায় জেএসসিতে ৩৯ ও জেডিসিতে ৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষায় ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। উপজেলার মোট ১ হাজার ৮৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৫১৭ জন। পাসের হার ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন। জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মোট ১৮২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৪৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন।

জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। হাসাদহ বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ১১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১০২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৪ জন। উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৪ জন। উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মোট ১০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মোট ৭৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৬ জন। আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ১৩১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১০১ জন। রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৬ জন। কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৯৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮১ জন। ধোপাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৬ জন। করতোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ১০১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭২ জন। শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ১৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৪৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। বিসিকেএমপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬১ জন। গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৯ জন। শাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৫৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৭ জন। হাসাদহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মোট ৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৬ জন। হাজী মনির হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৩ জন। আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে থেকে ৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪২ জন। পাঁকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২ জন। শিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৭ জন। কাশেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৮ জন।

অপরদিকে উপজেলার জেডিসি পরীক্ষায় ৭টি মাদরাসার ২৯৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৬১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। জীবননগর উপজেলা আলিম মাদরাসায় মোট ৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪০ জন। হাসাদহ মডেল ফাজিল মাদরাসায় মোট ৫৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। মাধবপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায় মোট ২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৮ জন। জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদরাসায় মোট ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫১ জন। নিধিকুণ্ডু-বাড়ান্দী দখিল মাদরাসায় মোট ৪৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাঁকা দারুস সালাম দখিল মাদরাসায় মোট ৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন এবং আন্দুলবাড়িয়া আশরাফিয়া দাখিল মাদরাসায় মোট ৩১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৯ জন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মেহেরপুর জেলার সেরা দশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫২ জনে ৫০ জন পাস এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন। সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮৭ জনে শতভাগ পাস। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন। মেহেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ২৫৫ জনে ২৪৬ জন পাস এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ জন। মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭৩ জনে পাস করেছে ২৪৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন। গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের ২৭৫ জনে ২৩৮ জন পাস এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ জন। বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬১ জনে ৬০ জন পাস এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৮ জনে শতভাগ পাস। ৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫১ জনে ১৫০ জন পাস, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭০ জনে পাস করেছে ৬৫ এবং ১০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মিকুসিস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৪ জনে শতভাগ পাস। ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারটার দিকে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে জেএসসি ও পিএসসির অনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন ও শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান এবং মনিরুল ইসলামসহ অন্যরা।

জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৭টি বিদ্যালয়ের ৫৭৮ জনের মধ্যে পাস করেছে ৫৭৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩ জন। এর মধ্যে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের ২৭৬ জনে ২৩৮ জন পাস করছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ জন। সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮৭ জনে শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন। গাংনী প্রি-ক্যাডেট স্কুল শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির ৩২ জন পরীক্ষার্থীর শতভাগ পাসের পাশপাশি ১৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩৮ জনে ২৭ জন পাস করেছে। গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের ১৭টি বিদ্যালয়ের ৯০৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৬৮ জন। এর মধ্যে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিক বিদ্যালয়ের ৭২ জনের মধ্যে ৫৯ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। গাংনী পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৩ জনে ২৪ জন পাস করেছে। ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৩ জনে ৩৮ জন পাস করেছে এবং বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮১ জনে পাস করেছে ৭৬ জন, ৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় গাংনী উপজেলায় ৫ হাজার ৬৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫ হাজার ৪০৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭১ জন। এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১৯ জন পাস করেছে এবং ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহেশপুরে ৪টি কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মহেশপুর কেন্দ্রে ৪৩ জন, খালিশপুর কেন্দ্রে ১৪ জন, শ্যামকুড় কেন্দ্রে ৩০ ও মহেশপুর বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ- ৫ পেয়েছে। এবার উপজেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৩ হাজার ৬২৬ জনের মধ্যে ফেল করেছে ২১১ জন।

Leave a comment