এসআই তোবারক ও কাউন্টার মাস্টার আলমকে নিয়ে নানা গুঞ্জন

ফলোআপ : দামুড়হুদায় হেরোইনসহ আটক যুবককে জেলহাজতে প্রেরণ : রিমান্ডের আবেদন

 

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদায় প্রায় দু কোটি টাকা মূল্যের ১ কেজি ৭২০ গ্রাম হেরোইনসহ আটক মিশনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই মহাব্বত আলী আটক মিশনকে আদালতে সোপর্দ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া হেরোইন তাকে কে দিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে দর্শনার সেলিম খাঁন এবং জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার আলমগীর দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের সামনে ওই যুবক থানার ওসিকে জানায়। অবশ্য হেরোইন বলে উদ্ধার দেখানো পদার্থগুলো আদৌ হেরোইন কি-না তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ রয়েই গেছে। অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছে, কালো ব্যাগ যেভাবে লাল ব্যাগে রূপান্তর হয়েছে, সেভাবেই ব্যাগে থাকা পদার্থও বদলে গেছে। দামুড়হুদার পূর্বাশা পরিবহন থেকে থানায় নেয়া আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই তোবারককে পার পেয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের ধারণা, এসআই তোবারককে পার পাওয়ানোর জন্যই ঘটনার পর তথ্য কৌশলে গোপন করা হয়েছে। এদিকে হেরোইন চোরাচালানের ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই তোবারকের সাথে পূর্বাশা কাউন্টার মাস্টার আলমের দীর্ঘদিনের বিশেষ সম্পর্ক নিয়ে নানামুখি গুঞ্জন উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এসআই তোবারক আলী একটি কালো রঙের ব্যাগ দামুড়হুদা বাজারের পূর্বাশা কাউন্টারে রাখেন। এর কিছুক্ষণ পর সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কাউন্টারে উপস্থিত হন। এসআই তোবারকের উপস্থিতিতে কাউন্টার থেকেই ওই ব্যাগটি উদ্ধার করেন। এ সময় এসআই তোবারক সহকারী পুলিশ সুপারের বেশ কয়েকবার পা চেপে ধরেন এবং বলেন, স্যার ভুল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করেন। এ দৃশ্য দেখেই মূলত সন্দেহ বেড়ে গেছে। প্রয়োজনে অন্য সংস্থার কোনো কর্মকর্তা দিয়ে তদন্তেরও দাবি উঠতে থাকে।

Leave a comment