আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের ২নং আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উপর্নিবাচন আগামীকাল রোববার। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারাভিযান গতরাত ১২টায় শেষ হয়েছে। উপজেলা র্নিবাচন কর্মর্কতা ওয়ালিউল্লাহ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করতে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে। ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা বলায় গড়ে তোলা হবে। ভোট কেন্দ্রটিতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। ভোটকেন্দ্রটি ইতোমধ্যে ঝুঁকিপুর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোনো প্রকার ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ভ্র্যামমাণ আদালতের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উপজেলা র্নিবাচন কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ মাথাভাঙ্গার এ প্রতিবেদককে এক প্রশ্নের উত্তরে জানান।
আন্দুলবাড়িয়া ইউপির ৬নং ওয়ার্ডটি কর্চ্চাডাঙ্গা ও বিদ্যাধরপুর গ্রাম নিয়ে গঠিত। ভোটার তালিকা অনুয়ায়ী মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৮১১ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৯১৭ ও নারী ৮৯৪ জন। উপনির্বাচনে সদস্য পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপি সমর্থিত অহেদুল ইসলাম (ফুটবল), আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাহাউদ্দিন (মোরগ) ও হায়দার আলী (টিউব অয়েল) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
তথ্য অনুসন্ধান নিয়ে জানা গেছে, নিজ নিজ পাড়ায় ৩ জন প্রার্থী শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। কর্চ্চাডাঙ্গা লাইনপাড়া ও বিদ্যাধরপুর গ্রামের কোনো প্রার্থী না থাকায় ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নজর এখন ওই এলাকার ভোটারদের দিকে। জয় পরাজয় নির্ভর করছে লাইনপাড়া ও বিদ্যাধরপুর গ্রামের ভোটারদের ওপর। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ প্রচারাভিযানে নিজ নিজ দলের প্রার্থীকে জয়লাভ করার জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার সমর্থিত বাহাউদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মকলেচুর রহমান টজো সমর্থিত হায়দার আলীর পক্ষে বিপক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দু পক্ষ নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারাভিযানে জয়ের মালা ছিনিয়ে নিয়ে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভোটার জানান, ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তিনি এ নির্বাচনে বিএনপির অট্টহাসি ও আওয়ামী লীগের অস্থির লড়াই বলে মন্তব্য করেন। এদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বাহাউদ্দিন তার ভোটার ও কর্মীদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম আকস্মিক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অকাল মুত্যবরণ করায় পদটি শুন্য হয়ে পড়ে।