যশোরের মোহাম্মদ আলী আটক : ৪ বস্তা দেশি-বিদেশি টাকাসহ দেড় মণ সোনা উদ্ধার

রাজধানী ঢাকার পুরান পল্টনের বাসায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযান

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর পল্টনে একটি বাড়িতে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রাসহ ৬১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ৫২৮টি সোনার বার জব্দ করেছে। এ ঘটনায় বাসার মালিককে আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পল্টন এলাকার ২৯/১ বিল্ডিঙের ৬ তলার বাসায় অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই বাসা থেকে সোনার চোরাচালান ব্যবসা করা হয়- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ৪ বস্তা বিদেশি মুদ্রা ও৬১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ৫২৮টি সোনার বার জব্দ করা হয়েছে। আটক বাসার মালিক মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে শুল্ক আইনে মামলা করা হবে। তিনি আরো জানান, আটক মোহাম্মদ আলীর বাড়ি যশোর। তিনি নিজেকে একবার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী আরেকবার আবাসন ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন।

গোপন খবরের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় ৬১/১ পুরানা পল্টনের ৭ম ও ১১ তলার দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৬/এ নম্বর ফ্ল্যাটে একটি বিছানা, সিলিং ও বিভিন্ন আসবাবপত্রের ভেতর থরে থরে সাজানো দেশি-বিদেশি মুদ্রা ছাড়াও প্রায় দেড় মণ ওজনের ৫২৮ পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়। টাকাগুলো প্লাস্টিকের চারটি বস্তা হবে বলে জানান ড. মইনুল খান।

এ ঘটনায় ফ্ল্যাটের মালিক মো. আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযানের শুরুতে তার বাসায় কোনো অবৈধ মুদ্রা নেই বলে তিনি দাবি করেন। পরে তিনি জানান, তিনি ব্যবসা করেন এবং উদ্ধারকৃত টাকাগুলো সব তার ব্যবসার টাকা। ধানমণ্ডিতে আলী সুইটস নামে তার একটি মিষ্টির দোকান এবং হুন্ডির ব্যবসা রয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেছেন, মো. আলীর বাড়ি যশোর জেলায়। তিনি সোনা চোরাচালানের সাথে জড়িত বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাকা গণনার কাজ চলছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, গণনা শেষ হলে তা সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে। এ ঘটনায় বৈদেশিক মুদ্রা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ চারটি ধারায় মামলা দায়ের হবে বলে তিনি জানান।