হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি: যৌতুকের টাকা না পেয়ে ঝিনাইদহে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের মহিউদ্দিনের মেয়ে সেলিনা খাতুনের সাথে সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ফিরোজ আহমেদের আট বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। সেলিনার পিতা অভিযোগ করেন, মেয়ের বিয়ের পর থেকেই যৌতুকলোভী জামাই ফিরোজ ও তার পরিবার একের পর এক যৌতুক দাবি করতে থাকে। সেলিনার পিতা মেয়ের সুখের কথা ভেবে পর্যায় ক্রমে ৬ লাখ টাকা যৌতুক দিই। গত সোমবার সকালে স্বামী ফিরোজ আবারো স্ত্রীকে এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে পিতার বাড়িতে পাঠায়। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারলে ওই দিন বিকেলে ফিরোজ তাকে পিটিয়ে জখম করে। বর্তমানে সে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি গর্ভবতী হওয়ার কারণে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে সময় লাগবে। অভিযোগ রয়েছে, ফিরোজ পেশায় একজন পল্লি পশুচিকিৎসক। তার বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বে প্রথম স্ত্রীকে গর্ভবতী অবস্থায় হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি পরকীয়া প্রেমের মাধ্যমে একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়।