স্টাফ রিপোর্টার: আখাউড়া-লাকসাম রেল উন্নয়নসহ আটটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১০ হাজার ৬২৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দু হাজার ৫২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাঁচ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে দু হাজার ৬১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ৬৪ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা ল্যাব স্থাপন প্রকল্পে ব্যায় হবে ২৯৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
ঢাকা শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে গতকাল মঙ্গলবার ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে অচিরেই ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের একটি প্রধান করিডরে পরিণত হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোকে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন সুবিধা দিতে পারবে। এতে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা আকৃষ্ট হবেন।
তিনি আরো বলেন, টঙ্গী-ভৈরববাজার এবং লাকসাম-চিনকি আস্তানা সেকশনের ডাবল লাইন নির্মাণকাজ ২০১৫ সালে শেষ হবে। সেই সাথে আখাউড়া-লাকসাম সেকশন ডাবল ডুয়েলগেজ হয়ে গেলে পুরো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন ডাবল ডুয়েলগেজ হয়ে যাবে। ফলে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের চাহিদা মেটানো সহজ হবে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, আখাউড়া-লাকসাম পর্যন্তু ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেল লাইন ডুয়েলগেজে রূপান্তর। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ছয় হাজার ৫০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক হাজার ২৬ কোটি এবং এডিবি দেবে পাঁচ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা।
প্রিপেইড মিটারিং প্রজেক্ট অব ফাইভ এনওসিএস ডিভিশন আন্ডার ডিপিডিসি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২২৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৯৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বিবিয়ানা-ধনুয়া গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণে ব্যয় হবে এক হাজার ৭০৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। গুরুত্বপূর্ণ নয়টি ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় হবে ৩০৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে ব্যয় হবে ৯৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। স্নাতক ও সম্মান পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রকল্পে (প্রথম সংশোধিত) ব্যয় হবে ৫০১ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং ৬৪ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা ল্যাব স্থাপন প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৯৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।