দামুড়হুদার কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত : ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ

 

এম আর কচি/শরিফ রতন: দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত। ভবনগুলা ঝুঁকিপূর্ণ। নেই প্রধান গেট। এসবের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট করে লেখাপড়া করতে হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। পরবর্তীতে ৩ একর ৪৭ শতক জমির ওপর বিদ্যালয়ের অফিস ক্লাসরুম নির্মাণ করা ১৯৮০ সালে। ৪ কক্ষ বিশিষ্ট এ ভবনে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করে আসছে। ২০০৯ সালে ফ্যাসিলিটর বিভাগ থেকে ৬ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে সর্বমোট ৬৮৭ জন ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে ও শিক্ষক রয়েছেন ১১ জন। পুরাতন ভবনগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলে ক্লাস কক্ষের ভেতরে পানি ভরাট হয়ে যায়। প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে চুয়াডাঙ্গা ফ্যাসিলিটর বিভাগ থেকে সহকারী প্রকৌশলী ফজলুর রহমান বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে আসে। বিদ্যালয়ের ভবন পরিদর্শন করে ভবনগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে একটি কক্ষ বাদে ৩টি কক্ষ বাধ্য হয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের তুলনায় পর্যাপ্ত ক্লাসরুম না থাকায় নবম শ্রেণির ১টি কক্ষে ১২৪ জন ছাত্র-ছাত্রীকে কষ্ট করে পড়ালেখা করতে হয়। এর ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চরম বেকায়দায় পড়তে হয়। এছাড়া প্রতিটি রুমে ৯০ জনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীর একসাথে বসে ক্লাস করতে হয়। বিদ্যালয়ের সীমানা পাঁচিল কোনো রকম থাকলেও প্রধান গেটটি বাঁশ-কাবারি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যখন তখন গরু-ছাগল প্রবেশ করে। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বিদ্যালয়টি প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে থাকে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী বলেন, ভালো ফলাফল ধরে রাখতে জরুরিভিত্তিতে পর্যাপ্ত ভবন প্রয়োজন। বিষয়টির প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী।