জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের উথলীতে গাছ ফেলে নৈশকোচ ও যানবাহনে গণডাকাতি

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের উথলী মোল্লাবাড়ির জামতলা নামক স্থানে রাস্তায় গাছ ফেলে বেরিকেড দিয়ে নৈশকোচসহ প্রায় ২০টি যানবাহনে গণডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতির আগে সশস্ত্র ডাকাতদল ব্যারিকেডের উভয় পাশে মোটরসাইকেল নিয়ে টহল দেয়। নিরাপদ ভেবে পার হতে গিয়ে এসব যানবাহন ডাকাতদলের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ত খোয়ায়। এ সময় ডাকাদল বেশ কয়েকটি নৈশকোচ ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টহল দল প্রায় ৫ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। গতকাল সোমবার রাতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উথলী ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য ডাকাতি ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, রাত ১১টার দিকে সশস্ত্র ডাকাতদল ওই স্থানে সড়কের ধার থেকে গাছ কেটে রাস্তার ওপর ফেলে বেরিকেড দেয়। ডাকাতদল এ সময় কৌশল অবলম্বন করে। দলের ৮ সদস্য ৪টি মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিকেডের উভয় পাশে টহল দিতে থাকে। মোটরসাইকেলের স্বাভাবিক যাতায়াত করা দেখে সড়ক নিরাপদ রয়েছে ভেবে ঢাকা থেকে যাওয়া নৈশকোচসহ অন্যান্য যানবাহন ডাকাতদলের বেরিকেডে আটকা পড়ে। এ সময় থানায় ফোন করা হলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ এলে ডাকাদল পালিয়ে যায়।

জেআর পরিবহনের সুপারভাইজার ফারুক জানান, গাড়ির গেট খুলতে অস্বীকৃতি জানালে এ সময় ডাকাতদল বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর করে। তারা এ সময় প্রায় ২০টি যানবাহনে ডাকাতি করে। ডাকাতিকালে তারা যাত্রীদের নিকট থেকে টাকা, সোনার গয়নাগাটি ও মোবাইলফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে।

এ ব্যাপারে জীবননগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, রাত ৩টার দিকে পুলিশের টহল দল ওই স্থান থেকে সন্তোষপুর বাসস্ট্যান্ডে সরে এলে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল এ সময় ৪-৫টি নৈশকোচে ডাকাতি করে। খবর পেয়ে টহল পুলিশের ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে ডাকাতদল পালিয়ে যায় বলে তিনি স্বীকার করেন।