নৌবাহিনীর নতুন যুগে প্রবেশ

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সময়ের পরিক্রমায় ছোট্ট নৌবাহিনী আজ একটি মর্যাদাশীল নৌবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের বর্ধিত  সমুদ্রসীমা ও সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় এ

বাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। ইতোমধ্যেই নৌবাহিনীকে একটি কার্যকর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। দেশরক্ষার মহান ব্রতে আত্মনিয়োগ করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে আরও গৌরবোজ্জ্বল আসনে অধিষ্ঠিত করতে তিনি সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা এখন আধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছি। বাংলাদেশ নৌবাহিনী এখন বায়ার নেভি থেকে বিল্ডার নেভিতে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে শীতকালীন কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এদিন তিনি ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০১৪/বি এবং মিডশিপম্যান ২০১৩/এ ব্যাচের নবীন কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানগণ, নৌ সদর দফতরের পিএসওগণ, তিন বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডারবৃন্দ ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নৌ কমান্ডোসহ দেশি-বিদেশি কূটনীতিক এবং শিক্ষা সমাপনী ব্যাচের মিডশিপম্যানদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার এ মহান দায়িত্ব পালনে নারীদের অংশগ্রহণ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিঃসন্দেহে এ অগ্রযাত্রা একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে দেশের নারী সমাজকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করবে।