শৈল্পিক কারুকার্য নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের

দামুড়হুদা কার্পাসাঙ্গার খ্রিস্টান পল্লিতে পাথরের টুকরো দিয়ে তৈরি মা মারিয়ার ঘর

 

শরিফ রতন/এমআর কচি: স্বর্গীয় আবহে পাথরের টুকরো দিয়ে পাহাড়ি আদলে তৈরি করা হয়েছে মা মারিয়ার (মরিয়ম) মূর্তি রাখার নিবাস। ঈশা মোশীহীর মাতা মা মারিয়ার (মরিয়ম) নিবাসটি দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য ও শৈল্পিক সোন্দর্য নজরকারে দর্শনার্থীদের। এলাকার বসবাসকারী খ্রিস্টধর্মীয় অনুসারীরা প্রতিদিন শান্তি ও মঙ্গল কামনায় মা মারিয়ার (মরিয়ম) এ নিবাসে করেন আরাধনা। মত্ত থাকতে দেখা যায় প্রার্থনায়। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার প্রাচীন ব্যবসায়ী ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত কার্পাসডাঙ্গায় কবে কখন গড়ে উঠেছিলো খ্রিস্টান পল্লি তার সঠিক দিনক্ষণ জানা না গেলেও তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনামলে এ অঞ্চলে বসবাস ছিলো খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বর্তমানে কার্পাসডাঙ্গা মিশনপাড়া ও তার পার্শ্ববর্তী বাঘাডাঙ্গায়। ক্যাথলিক ও চার্চ অব বাংলাদেশ অনুসারী প্রায় বর্তমান আড়াই হাজার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বসবাস। এসব এলাকায় প্রার্থনার জন্য ৪টি গির্জা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫টি ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সালের ৮ নভেম্বর ফাদার যোসেফ মারিয়া মিস্ত্রির পরিকল্পনায় নির্মাণ কাজ করেন। কুতুবপুরের নজির আহম্মদসহ বেশ কিছু শ্রমিক কালো পাথরের টুকরো দিয়ে তৈরি করা হয় মা মারিয়ার (মরিয়ম) এ ঘরটি। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে এ ঘরটি শৈল্পিক কারুকার্যে সাক্ষর বহন করেছে। ঠিক ঘরের মাঝখানে রাখা হয়েছে মা মারিয়ার (মরিয়ম) সসজ্জিত একটি মূর্তি। ঘরের সামনের উঠোনে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র যা নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের। মা মারিয়ার (মরিয়ম) এ নিবাসের পাশ ঘেঁষে রয়েছে পরম পবিত্র যিশুর হৃদয়ের গির্জা। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এলেই মা মারিয়ার (মরিয়ম) এ নিবাসটি দেখলে যেন সৃষ্টি হয় মানুষের মিলনমেলা স্বর্গীয় আমেজ। শান্তি ও মঙ্গল কামনায় মা মারিয়ার পদতলে করে থাকে আরাধনা। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, যুবক, যুবতী, শিশু-কিশোরসহ সকলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মঙ্গলদ্বীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করে তোলা হয় মা মারিয়ার স্বর্গীয় আবহে গড়ে তোলা এ নিবাসটিকে দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন ফাদার অরুন হালসোনা, মিঠু মল্লিক, নিমু মণ্ডল, বকুল বিশ্বাস প্রমুখ।

Leave a comment