প্রতিরোধের মুখে বোমা বিস্ফোরণ : দুজনকে কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গার পদ্মাবিলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তাহেরের বাড়ি ডাকাতদলের হানা

 

ডিঙ্গেদহ/সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ও শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নে চুরি-ডাকাতি বেড়েই চলেছে। এক মাসের ব্যবধানে আবারও পদ্মবিলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাসের বাড়িতে রাতে ডাকাতদল হানা দেয়। জনগণের প্রতিরোধে ডাকাতরা বোমা বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়। রাতেই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১টি বোমা এবং বিস্ফোরিত বোমার আলামত উদ্ধার করেছে। গতপরশু শুক্রবার রাত ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের সুবদিয়া মাঝেরপাড়ায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

আবু তাহের বিশ্বাস জানান, শুক্রবার রাত ১টার দিকে ১৩/১৪ জনের ডাকাতদল বাড়ির মেন গেটের তালা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করার সময় গ্রিলের খট খট শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় ঘরের ভেতর থেকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিলে পাড়ার লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুললে ডাকাতদল জনগণকে লক্ষ্য করে পরপর ৫টি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে ৪টি বোমা বিস্ফোরিত হয় এবং একটি অবিস্ফোরিত থাকে। বোমার বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে এলাকা। পালানোর সময় গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে আ. রাজ্জাক ও আ. লতিফের ছেলে আ. মান্নান বাধা সৃষ্টি করলে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংবাদ পেয়ে সরোজগঞ্জ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই সেকেন্দার আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১টি অবিস্ফোরিত বোমা ও বিস্ফোরিত বোমার আলামত উদ্ধার করেন।

এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের শঙ্করচন্দ্র বসতিপাড়ায় মফিজ উদ্দিনের ছেলে সেলিম উদ্দিনের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে দুটি মোবাইলফোন, একজোড়া কানের দুল এবং নগদ টাকা নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় এক সপ্তার মধ্যে আরো ১০ হাজার টাকা চাদা দেয়ার হুমকি দিয়ে যায়। ওই রাতেই রাত ২টার দিকে ডিঙ্গেদহ মাঠপাড়ায় মরজেমের বাড়িতে ডাকাতির অপচেষ্টাকালে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে ৫টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালায় ডাকাতদল। অপরদিকে গত বুধবার রাতে শঙ্করচন্দ্র মোকামতলা পাড়ার আ. রাজ্জাকের বাড়ি থেকে ১টি গরু এবং গত মঙ্গলবার রাতে শঙ্করচন্দ্র বসতিপাড়ায় জব্বার মালিতার ছেলে কাইজার মালিতার একটি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। একের পর এক চুরি ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় পুলিশি টহল জোরদার করার জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকার সচেতনমহল।