স্টাফ রিপোর্টার: জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা কাজী আরেফ হত্যা মামলায় ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত লাল্টু বাহিনীর সদস্য আনোয়ার হোসেনের জীবন ভিক্ষা চেয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। গতকাল শনিবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান আনোয়ায়ের ছেলে আক্তারুজ্জামান ডালিম। এ সময় আনোয়ারের স্ত্রী শামসুন্নাহার, মেয়ে তানজিনা খাতুন বিথি, ভাই আব্দুল হান্নান ও চাচাতো বোন সাহেদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন। এ পরিবারটি প্রাণভয়ে কুষ্টিয়ার মীরপুর উপজেলার কুরশা গ্রাম ছেড়ে গত ১৫ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশপাড়ায় বসবাস করছে।
লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, ১৯৯৩ থেকে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা একে একে তাদের পরিবারের ১০ জন সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করে। যার মধ্যে তিনজনকে খুনের পর লাশ গুম করা হয়। যাদের লাশ আজও পাওয়া যায়নি। সন্ত্রাসীরা আনোয়ার হোসেন খুন করার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষায় তিনি লাল্টুবাহিনীতে যোগ দেয়। যোগ দেয়ার পর ১৯৯৯ সালের ২৯ জুলাই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. নাসিমের আহ্বানে সাধারণ ক্ষমার আওতায় বর্তমান জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের মাধ্যমে খুলনা রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি লুৎফুল কবীরের কাছে আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আত্মসমর্পণ করে। অথচ পরবর্তীতে তাকে কাজী আরেফ হত্যা মামলায় ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। গত ১৯ নভেম্বর সূপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড বাদ দিয়ে প্রাণরক্ষার জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছে আনোয়ারের পরিবার। ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে জাসদ নেতা কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচজনকে গুলি করে খুন করে সন্ত্রাসীরা।