চাকরির লোভ দেখিয়ে পতিতালয়ে বিক্রি : দু মাস পর উদ্ধার তরুণী

 

স্টাফ রিপোর্টার: চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে নিয়ে আসা এক তরুণীকে (২০) যশোর মাড়োয়ারি মন্দির পতিতালয়ে বিক্রির পর তিনি পালিয়ে এসেছেন। পতিতালয়ে দু মাস অবস্থানকালে পরিচয়ের সূত্র ধরে অপর এক যুবক তাকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিলো। পরে তাকে কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। পালিয়ে আসা তরুণী জানিয়েছেন, পতিতালয়ে আরও এক নারীকে আটকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করানো হচ্ছে।

তরুণীটি জানান, তার বাড়ি নারায়নগঞ্জ জেলায়। তার বাবা নেই। মা ও এক ভাই রয়েছেন। মা গার্মেন্টসে চাকরি করেন। প্রায় দু মাস আগে ঢাকার মিরপুরের এক মাজারে সোনিয়া নামে এক নারীর সাথে তার পরিচয় হয়। ওই নারী গার্মেন্টসকর্মী পরিচয় দিয়ে তাকে চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে যশোরে নিয়ে আসে। এখানে মোমিন নামে এক যুবকের কাছে হস্তান্তর করার পর সে তরুণীকে মাড়োয়ারি মন্দির পতিতালয়ে বিক্রি করে চলে যায়।

তিনি আরও জানান, এ দু মাস তাকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছে এবং তাকে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি। পুলিশ মাঝেমধ্যে অভিযান চালালে নারীদের গোপন করে রাখতো। এরই মধ্যে আলী হোসেন নামে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই নারী।

আলী হোসেন তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে ওই তরুণী গত বৃহস্পতিবার সকালে পতিতালয় থেকে পালিয়ে আসেন। কিন্তু আলী তাকে বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে বেজপাড়ায় এক নারীর বাড়িতে রেখে যায়। ওই নারী শুক্রবার ভোরে তাকে যশোর কোতয়ালি থানায় পৌঁছে দিয়ে জানান, আলী হোসেন তাকে ভারতে পাচারের পরিকল্পনা করছিলো। প্রতারণার শিকার তরুণী জানিয়েছেন, পতিতালয়ের ১ নম্বর গলিতে আরও এক নারীকে আটকে রেখেছে ঘর মালিক সোনিয়া। তাকে উদ্ধারের জন্য তিনি পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।