স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ফেরারি দীর্ঘদিন পর গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা ডিহির তাহাজ্জত ভারতে আত্মগোপন করে দেশে ফিরে কৌশলে ঘুরেও শেষ রক্ষা হয়নি

 

স্টাফ রিপোর্টার: স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত দীর্ঘদিনের ফেরারি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ডিহির তাহাজ্জত আলীর শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল বুধবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমির আব্বাস ও এএসআই তরিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে তাহাজ্জত আলী ২০০৫ সালের ১৬ মে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশের গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চালায়। স্ত্রীর পিতা ঝাঁঝরির ফরজন মেম্বার বাদী হয়ে হত্যামামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তাহাজ্জত পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে। এক পর্যায়ে জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপন করে। সূত্র বলেছে, ভারতে পালিয়ে সেখানে নতুন সংসার পাতে। এদিকে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয় সে। ২০০৯ সালের ১২ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

পুলিশসূত্র বলেছে, ভারতে নতুন সংসার পাতলেও সম্প্রতি সে দেশে ফেরে। গোপনে চলাচফেরা করতে থাকে। গতকাল সে চুয়াডাঙ্গা সমবায় ব্যাংকের অদূরে অবস্থান নিলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সদর থানায় নেয়া হয়। পরে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া করে পুলিশ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ফেরারি তাহাজ্জতকে গ্রেফতার করা হয়েছে খবর গ্রামে পৌঁছুলে অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, স্ত্রীর ঘাতক তাহাজ্জতের শেষ রক্ষা হলো না। রায়ের ৫ বছরের মাথায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হলো তাকে।

Leave a comment