প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেলে এরাই দেশ ও সমাজের সম্পদ হবে

প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সহায়ক উপকরণ, শিক্ষা উপকরণ, ওষুধ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গতকাল বুধবার জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ডিআরআরএ ও এসএলএফ নেদারল্যান্ডের সহযোগিতায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিহতায় প্রথম স্থান অধিকার করে রফিকুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থান আঙ্গুরা খাতুন, তৃতীয় স্থান অধিকার করে রুহুল আমিন। কবিতা আবৃত্তিতে প্রথম নুসরাত জাহান, দ্বিতীয় স্থান মিম খাতুন, তৃতীয় স্থান ফয়সাল হোসেন। বালিশ বদল প্রথম স্থান হৃদয়, দ্বিতীয় স্থান মজিবুল ইসলাম, তৃতীয় স্থান সৌরভ। গান ও গজল প্রথম স্থান জুলেখা খাতুন, আল ইমরান, তৃতীয় স্থান ফয়সাল হোসেন। হুইল চেয়ার দৌড় প্রতিযোগিতা প্রথম স্থান তানভীর আহমেদ, দ্বিতীয় জুবায়ের হোসেন, তৃতীয় ময়না খাতুন। অভিভাবকদের বালিশ বদল প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান মিলি খাতুন, দ্বিতীয় মেরিনা খাতুন, তৃতীয় টিলা খাতুন। অতিথিদের বালিশ বদল প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থান ডা. সেলিম রেজা ও তৃতীয় স্থান লাল মিয়া। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন।

তিনি বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, প্রতিবন্ধীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে একটু সুযোগ প্রয়োজন। প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেলে এরাই দেশ ও সমাজের সম্পদ হবে। তাদের যে মেধা আছে তা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে কখনোই সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না। আজ প্রতিবন্ধীরা পিছিয়ে নেই। তারাও সমাজের একজন। তিনি আরো বলেন, তাদেরও সমাজের অন্য সবার মতো স্বাধীনভাবে চলার ও বসবাস করার মৌলিক অধিকার রয়েছে। তারাও সমাজের অন্য আট-দশটি ছেলেমেয়ের মতো ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। লেখাপড়া শিখে আত্মকর্মসংস্থান করছে। প্রতিবন্ধীদের লেখাপড়ার ব্যাপারে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় এসব বঞ্চিত ও অবহেলিত শিশুরা লেখাপড়া করছে। তারা এখন লেখাপড়া করে বড় হওয়র স্বপ্ন দেখছে। আর প্রতিবন্ধীদের অবহেলা নয়। সমাজের সকলকে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়াদ্দার টোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে ফিজিওথেরাপি কনসালেন্ট ডা. সেলিম রেজা, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহাঙ্গীর আলম মান্নান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ ৬০ জন, স্কুলে যাওয়া-আসা ভাতা ৩০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হয়। সহায়ক উপকরণ দুজন, হিয়ারিং ৫ জনের মাঝে বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের বিচারক ছিলেন ওয়ালিয়ার রহমান মালিক টুল্লু, শাহ আলম সনি, মরিয়ম শেলী ও শাহিন সুলতানা মিলি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার সহসমন্বকারী আরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সমন্বকারী সাইদুর রহমান।