আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার তরুণ শিক্ষার্থীদের বড় মাপের মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়ে ফিরে গেলেন দেশে-বিদেশে সম্মানজনক অবস্থানে অধিষ্ঠিতরা। আলমডাঙ্গার সন্তান যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্মানজনক অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। বিজয় দিবসে তারা ছুটে এসেছিলেন আলমডাঙ্গার বর্তমান তরুণ প্রজন্মের নিকট।
জানা গেছে, কোনো নিয়ম ছাড়াই শহরের থানাপাড়াস্থ কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে কর্মসূচি। সেখানে উপস্থিত থেকে নিজেদের জীবন সংগ্রামের কাহিনি, উত্থান-পতনের কাহিনি ও সর্বোপরি প্রতিষ্ঠা লাভের স্বর্ণশিখরে অধিষ্ঠিতের গল্প শোনালেন আমেরিকার পেনসিলভানিয়ার চেইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফ্যাকাল্টির প্রফেসর বিভাগীয় চেয়ারম্যান মীর মোনায়েম চৌধুরী, ইউএনডিপি’র এক্সপার্ট জাহিদ হোসেন নজরুল, আলমডাঙ্গার আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক শিক্ষক আফিল উদ্দীন, সাবেক মৎস্য কর্মকর্তা মীর আব্দুল হামিদ চৌধুরী, ঢাকা মিরপুর শাহ আলী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রওনক তুহিন। ডা. তুহিন কীভাবে বিপর্যয় থেকে জীবনকে সার্থক করা যায় সে গল্প শোনালেন।
বক্তারা আলমডাঙ্গার নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমাদেরকে অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন লালন করতে হবে। সে স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলতে নিজকে প্রস্তুত করতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, সাহিত্য, দর্শনে বিশ্বদরবারে নেতৃত্ব দিতে হবে। এজন্য অনেক বড় স্বপ্ন দেখতে ও তা বাস্তব করে তুলতে সাহস অর্জন করতে হবে।
দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত এ সকল ব্যক্তির সাথে আলমডাঙ্গার নতুন প্রজন্মের মেলবন্ধন ঘটাতে সহযোগিতা করেছেন শাতিল হাসান সাজু, খন্দকার মহাবুবুল করিম উজ্জ্বল, বুলবুল আহমেদ, শাহীন আহমেদ, আনোয়ারুজ্জামান প্রমুখ।