চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বিজয় দিবসের নানা কর্মসূচি : ঘরে বাইরে ফুটে ওঠে উৎসবের আমেজ
মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: যুদ্ধাপরাধের সকল রায় কার্যকর ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখার শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে জাতি গতকাল মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার গ্রহণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। শেরেবাংলা নগরে তিন বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ছিলো মনোমুগ্ধকর। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দ্দী উদ্যানে স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের উচ্চারণে ছিলো দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ মাত্রা। নগরীতে বিজয় শোভাযাত্রাও ভিন্ন মাত্রা আনে। গত সোমবার রাত থেকেই আতশবাজি আর নানা দেশাত্মবোধক গানে জেগে ওঠে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ গোটা দেশ। বিএনপির প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণসহ বিএনপি চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশেই বিজয় দিবসে কর্মসূচি পালন করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপি চুয়াডাঙ্গায় নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে শহীদ হাসান চত্বর মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভা এলাকার সকল সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহে জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জাতীয় সংসদরে হুইপ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। উত্তোলন করা হয় আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা। সকাল সোয়া ৮টার দিকে শোভাযাত্রাসহকারে শহীদ হাসান চত্বরের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মার্চপাস্ট, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী। ওই মনোজ্ঞ মার্চ-পাস্ট ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৭২টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ছিলো বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস্, আনসার, ভিডিপি, বয়স্কাউট, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ ও হলুদ পাখিসহ বিভিন্ন সংগঠন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ও শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় সাথে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান। প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই আমিনুল ইসলামের চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে ছিলো বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স, আনসার-ভিডিপি, বয়স্কাউটস, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ ও হলুদ পাখি, ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দল এবং সংগঠন। এরপর পাইলট ক্যাডেট বিদ্যুত ও ক্যাডেট মিঠু গার্ড অব অনারের মাধ্যমে এবং প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহাবদ্দিনের চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক স্টেডিয়ামে আগত সকলের উদ্দেশে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখি, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ও দু লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি লাল-সবুজ পতাকা ও স্বাধীন সার্বোভৌম রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো নিপীড়িত-নির্যাতিত জর্জরিত মানুষের এ দেশটি যেন স্নেহ-প্রেম প্রীতির আবহে পূর্ণ হয়ে সুস্থ মানবতার আবাসভূমি হয়ে উঠতে পারে এবং সেই পরিবেশে বেড়ে উঠে নতুন প্রজন্ম যেন পরিপূর্ণতার আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে বিশ্বময় বিশ্বমানবতার জয়গানে মুখর হয়ে উঠতে পারে। ভাষণ শেষে ৭২টি প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট ও সালাম গ্রহণ করেন। এরপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক অনুষ্ঠিত মার্চপাস্ট ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী উপভোগ করেন। ভাষণ শেষে ৭২টি প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট ও সালামগ্রহণ করেন তিনি। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক অনুষ্ঠিত শরীরচর্চা প্রদর্শনী। ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি শিশুসদন চুয়াডাঙ্গা, ২য় যুব রেডক্রিসেন্ট চুয়াডাঙ্গা ইউনিট এবং হলদে পাখি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়। খ বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি শিশু পরিবার, ২য় স্থান অধিকার করে কাবদল কেদারগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৩য় স্থান অধিকার করে কাবদল ছাত্রী ঝিনুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে ‘ক’ বিভাগের ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি শিশুসদন, ২য় স্থান অধিকার করে গার্লস গাইড সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এবং ৩য় স্থান অধিকার করে গার্লস গাইড রাহেলা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়। খ বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করে প্রদীপন বিদ্যাপীঠ, ২য় স্থান অধিকার করে সরকারি শিশু পরিবার এবং ৩য় স্থান অধিকার করে ঝিলিক কিন্ডারগার্টেন।
শরীরচর্চা প্রদর্শন শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মার্চপাস্টে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে সান্ত্বনা পুরস্কার ও ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এনডিসি মুনিবুর রহমান। বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর উন্মুক্ত মঞ্চে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য দশম জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান, বীর প্রতীক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন।
অলোচনাসভার প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দু লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য উত্তরসুরি শেখ হাসিনার দিনবদলের পথ ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সেই স্বাপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই । তারা ঘাপটি মেরে থেকে নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্র করে মাধ্যমে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি সামনের কাতারে বসা মুক্তিযোদ্ধা সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এক সময় আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে দেশ পাকহানাদার বাহিনী মুক্ত করেছি। এখন সময় এসেছে দেশকে রাজাকারমুক্ত ও যুদ্ধাপরাধ মুক্ত করার জন্য আবার কাজ করতে হবে। আলোচনাসভা শেষে চুয়াডাঙ্গার ১৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনাসহ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুন্সি আবু সাইফ।
বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়াম মাঠে মহান বিজয় দিবস ২০১৪ উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গার প্রাক্তন খেলোয়াড় বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশ, মুক্তিযোদ্ধা একাদশ বনাম সোনালি অতীত একাদশ এবং জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন একাদশের অধিনায়ক ছিলেন জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন, সহঅধিনায়ক ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহাবুব এবং পৌরসভা একাদশের অধিনায়ক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। ৩টি ম্যাচই গোলশূন্য ড্র হয়। খেলা পরিচালনা করেন সাবেক জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মতি। প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষে অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়দেকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ পর্বের শুরুতে গত ১৫ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ম্যারাথন দৌড়ে বিজয়ী ৬ প্রতিযোগীকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। দুপুর ১২টায় ছেলেদের জন্য নান্টুরাজ সিনেমা হল এবং মেয়েদের জন্য পান্না মুভিজ সিনেমা হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হয়। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, শিশুসদন, অন্ধস্কুল, কারাগার ও ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বাদ জোহর সকল মসজিদ, প্যাগোডা, গির্জা, মন্দির ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে জাতির শান্তি অগ্রগতি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিক সাঈদ মাহবুব (সার্বিক), আবু সাঈদ (রাজস্ব), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। পরপরই পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম বেনজির, সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জেলা পরিষদের পক্ষে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হামিম হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা, পৌর মেয়র, পাইনক্লাব, মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, জিমনেসিয়াম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ স্বাস্থ্য বিভাগ, নার্সিং ইনস্টিটিউট রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সরকারি কলেজ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, ভাই ভাই সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিউটি, ওয়ার্কার্সপার্টি, জাতীয়ার্টিসহ বিভন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবাইত বিন সুস্তির পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে। সকাল ৭টায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্যা অর্পণ করেন। বেলা ১১টায় সাহিত্য পরিষদের সামনে থেকে একটি বিজয় ৱ্যালি বের করে। ৱ্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সাহিত্য পরিষদে গিয়ে শেষে হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, মজিবুল হক মালিক মজু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুল, জেলা বিএনপির সদস্য সরদার আলী হোসেন, রউফুন নাহার রীনা, এম জেনারেল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম মনি, মির্জা ফরিদুল ইসমাল শিপলু, আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, রবিউল ইসলাম বাবলু, আবু আলা সামসুজ্জামান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা, সৈনিক, সেদিন স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর একটি বিগ্রেড বিভক্ত হলো জেড ফোর্সের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন মেজর বিএনপির প্রতিষ্ঠা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল বিএনপি। শহীদ জিয়া বাংলাদেশ খেকে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর বিপক্ষে সম্মুখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগ দেয়ার মাধ্যমে শহীদ জিয়া গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতার জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খলা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য যে যুদ্ধ করেছিলো স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধারের যুদ্ধ এখনও চলমান। দিনি জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বেগম খালেদা জিয়া আগামী দিনের গণতন্ত্র পূর্ব উদ্ধারের সংগ্রামে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্সপার্টি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা সকাল ৮টায় শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করে। বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্সপার্টি সভাপতি কমরেড সিরাজুল ইসলাম শেখ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনোয়ার হোসেন, জেলা ওয়ার্কার্সপার্টি নেতা দাউদ হোসেন, জামাত আলী, জেলা যুবমৈত্রী সভাপতি মামুন আর রশিদ, ছাত্রমৈত্রী সভাপতি শরিফুজ্জামান, রিপন, শ্রমিক নেতা হাসানুজ্জামান, মাসুম আলী প্রমুখ। জাতীয় মহিলা সংস্থা চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জেলা শাখার সভাপতি নুরুন্নাহার কাকলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শামসুজ্জোহা। বক্তব্য রাখেন সংস্থার ক্রীড়া সম্পাদিকা সেলিনা খাতুন, সাবিনা রুখসানা, সদস্য রাফিয়া খাতুন, শাহাজাদী মিলি শাহিদা আরা মুক্তি প্রমুখ।
মহান বিজয় দিবস-২০১৪ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় এবারো সরোজগঞ্জ এলাকার প্রতিযোগীরা প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এবারের প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থানসহ ৫ জনই সরোজগঞ্জের। শুধুমাত্র ৪র্থ স্থান অধিকারী সোহেল চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের। গত সোমবার মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রথমেই চুয়াডাঙ্গা পৌর সভার আয়োজনে শুরু হয় ম্যরাথন দৌড়। এ দৌড় শুরু হয় দর্শনা রেলগেট থেকে এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্বর পেরিয়ে কবরী রোড হয়ে শেষ হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে প্রতিযোগীরা দৌড় শুরুর নির্ধারিত জায়গায় উপস্থিত হয়। এরপর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র, পৌর পরিষদের সকল সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিতরা উপস্থিত হন। দৌড় শুরুর আগে জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাতীয় ক্রীড়া সংগঠক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন প্রতিযোগীদের হাতে টি-শার্ট তুলে দেন এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান। ৭টা ৬ মিনিটে বাশিঁ বাজিয়ে দৌড় শুরু করান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহাবুব, এনডিসি মুনিবুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম শামসুজ্জামান, সাব্বির রাহমান সানি, তরিকুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লাড্ডু, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান, হাউলি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত অতিথিগণ। সকাল ৮টা ১৬ মিনিটে নির্ধরিত স্থানে প্রথম প্রতিযোগী সিরাজুল ইসলাম পৌঁছে প্রতিযোগিতার প্রথম স্থান অধিকার করে। সে সময় নেয় ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট। এভাবে সাইফুল ইসলাম ১ ঘণ্টা ১১ মিনিট, বিপুল হোসেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট, সোহেল কায়েস ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট, রবিউল ইসলাম ১ ঘণ্টা ২৭ মিনিট ও খলিল মিয়া ১ ঘণ্টা ২৮ মিনিট সময় নিয়ে দৌড় সম্পন্ন করে। আমাদের স্টুডিওর সৌজন্যে ম্যারাথন দৌড় পরিচালক ও অতিথিদের ক্যাপ প্রদান করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা নূরনগর-জাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। প্রধান শিক্ষক ফারজানা নাসিমের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মফিজুল ইসলাম। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
জাফরপুর যুবসমাজের উদ্যোগে বিজয় দিবসের ৱ্যালি, আলোচনাসভা ও খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় খেলাধুলা। খেলাধুলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মো. রিংকু জোয়ার্দ্দার, মো. মোস্তাক আলী, মো. মানিক মিয়া, রানা, বিষ্ণু, মো. কাকন আলী, মো. নাসির জোয়ার্দ্দার, মো. জাফর আলী, মো. রাজু আহমেদসহ গ্রামের অনেকে।
আলুকদিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলুকদিয়া রোমেলা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক শরীফা খাতুনের সভাপত্বিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক খলিল উদ্দিন, উসমান হোসেন, সালেহীন কবীর, মানিক হোসেন, আবু হানিফ, মাসুদ রানা এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সালাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ছাত্রীগণ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ক্রীড়া শিক্ষক হাফিজুর রহমান।
বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আকন্দবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবসটি যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপিত হয়েছে। ৱ্যালি, আলোচনা মিলাদ মাহফিল ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। হিজলগাড়ি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্বপন, সহকারী প্রধান শিক্ষক আলী হোসেনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মণ্ডলী ও শিক্ষার্থী। আকন্দবাড়িয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ করেন মাগুরার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল লতিফ কাজল, এসএমসি সভাপতি আব্দুল আলীম সজল প্রমুখ।
ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গা আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নানবার সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ৱ্যালি, আলোচনাসভা, মিলাদ মহাফিল ও কাঙালিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। গাংনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক, প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, হাসেম আলী, মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন মহান বিজয় দিবস উদযাপন পরিষদের সভাপতি শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। এরপর ইউপি চত্বর থেকে ডিঙ্গেদহ অঞ্চল মহান বিজয় দিবস উদযাপন পরিষদ ও উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখার একটি বর্ণাঢ্য ৱ্যালি ডিঙ্গেদহ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উদীচীর উদ্যোগে দিনব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে সকাল ৮টায় ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ৱ্যালি আলোচনাসভা ও প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিন। এছাড়াও সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ, ডিঙ্গেদহ দাখিল মাদরাসা, শঙ্করচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৱ্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জ তেঁতুল শেখ কলেজ আলোচনাসভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে। শুরুতে একটি বর্ণাঢ্য ৱ্যালি বের করে। আলোচনায় অংশ নেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লা শেখ, অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া, শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষক রুহুল আমিন। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা আলোচনাসভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ৱ্যালির আয়োজন করে। পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লা শেখ, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন মহর, প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ, (অব.) শিক্ষক শওকত আলীসহ শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়া সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের, যুগিরহুদা আবুল হোসেন দাখিল মাদরাসা, সরোজগঞ্জ আন নুর ইসলামী একাডেমী সরোজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেবি নার্সিং স্কুল, শিশু নিকেতন, সরোজগঞ্জ চাইল্ড কেয়ার হোম বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস পালন করেছে।
বদরগঞ্জ প্রতিধিনি জানিয়েছেন, বদরগঞ্জ আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে শহীদ মিনারে পুষ্পামাল্য অর্পণ করাসহ বিজয় ৱ্যালি বের করা হয়। ৱ্যালি শেষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মোতালেব, প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আহামেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন টাইগার প্রমুখ। বদরগঞ্জ বাকি বিল্লাহ কামিল মাদরাসা আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল হাওলাদার। এছাড়া বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জীবনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বদরগঞ্জ দশমী মহিলা দাখিল মাদরাসা পক্ষ থেকে মহান বিজয় ও জাতীয় দিবসটি পালন করে।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, দিনের শুরুতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদ মাজারে বধ্যভূমির বেদীতে পুষ্পস্তবক দিয়ে ও সুরা ফাতেহা পাঠ করে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আলমডাঙ্গা পৌরসভা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব, স্কুল, মাদরাসা ও কলেজের পক্ষ থেকে শহীদ মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া করা হয়। উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠিত মূল কর্মসূচিতে সকাল সাড়ে ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মনির উদ্দীন মোল্লা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পুলিশ সদস্য, আনসার ভিডিপি ও ফায়ার সার্ভিস কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। সকাল ১০টায় পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে বিজয় ৱ্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহি অফিসার আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আবু তালেবের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দার, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা শাহাবুদ্দীন সাবু, মুক্তিযোদ্ধা জেলা জাসদের আহ্বায়ক এম সবেদ আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ার ম্যান কাজী অরুণ, কমান্ডার জামাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান। সন্ধ্যায় একই মঞ্চে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠি, সাধুগুরু বাউল ফাউন্ডেশন, মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠি প্রভৃতি সংগঠন তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অপরদিকে আলমডাঙ্গা পৌরসভা পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল ৬টায় শহরের রাস্তায় জাতীয় ও পৌরসভার পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সাড়ে ৭টায় মেয়র মীর মহিউদ্দিন পৌর কার্যালয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সাড়ে ৮টায় মেয়র মীর মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে বিজয় ৱ্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। বিকেল ৩টায় পৌরসভা কর্তৃক পৌর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। মেয়র মীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন। মুক্তিযোদ্ধা শেখ নুর মোহাম্মদ জকুর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কমান্ডার শফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দার, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ডা. শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সাবু, কমান্ডার জামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও প্রশিক্ষক আনোয়ারুজ্জামান রাজা মাস্টার। বিকেলে আলমডাঙ্গা পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী, আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মেয়র মীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ চন্দ্র পাল, থানা অফিসার ইনচার্জ মনির উদ্দীন মোল্লা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, বণিক সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা এইচএম শামীমুজ্জানান, উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক আহসান উল্লাহ প্রমুখ। সন্ধ্যায় পৌরসভা চত্বরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অপরদিকে, আলমডাঙ্গার বধ্যভূমির উৎসব কমিটি পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে। সকাল ৭ টায় উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনুর নেতৃত্বে বিজয় ৱ্যালি বের করা হয়, ৮ টায় বধ্যভূমিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী অরুণ, শামীম আরা, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর সভাপতি আবু মুসা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দার সুলতান, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মহিত। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকেও পৃথক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সকালে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। শেষে শহীদ মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতিহা পাঠান্তে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী অরুণ, শামীম আরা, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলই মাস্টার, পৌর সভাপতি আবু মুসা, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মহিত প্রমুখ। আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম, সিনিয়র সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান সানোয়ার হোসেন লাড্ডু, পৌর সভাপতি আনিচুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, এমদাদুল হক ডাবু, ইলিয়াস আহমেদ সিদ্দিকী, রহমান পিন্টু পিন্টু, এমদাদুল হক ডাবু, প্রমুখ। এর পূর্বে তারা শহীদ মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সুরা ফাতেহা পাঠ করে দোয়া করেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।
জামজামি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার জামজামি বাজার প্রতিভা একাডেমী, বণিক সমিতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পৃথক স্থানে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে। বেলা ১০টায় ৱ্যালি একাডেমী চত্বর থেকে যাত্রা শুরু করে জামজামি বাজার প্রদক্ষিণ করে। জামজামি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মির্জা ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের পতাকা উত্তোলন করেন। পরে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক ডা. আলাউদ্দিন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে মধুপুর বাজারে আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তপন কুমার বিশ্বাস। প্রধান অতিথি জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে এ অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তেলন করেন।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনাসভার আয়োজন করে। এছাড়া নিগার সিদ্দিক ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ বিজয় ৱ্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করে। অপরদিকে সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ, মুন্সিগঞ্জ একাডেমী, মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ড্যাফোডিল কিন্ডারগার্টেন, ইউনিক কিন্ডারগার্টেন দিবসটি পালন করে। এছাড়া বিকেল ৪টার দিকে আলমডাঙ্গার হারদীর উদয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলমাঠে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুক্তার হোসেন, প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আশিকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মুনছুর আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অ্যাড. মকলেচুর রহমান।
ঘোলদাড়ী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার আইলহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা লিটন মোল্লা, আফিজ উদ্দিন, হায়দার আলী, মজিদ, মান্নান প্রমুখ।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নাটুদা আট কবরে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ৮ শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান, উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল কামাল উদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আছির উদ্দিন, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান প্রমূখ ৮ শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান, উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল ও মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান। উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বিভিন্ন ঘটনাবলির ওপর ডিসপ্লে প্রদর্শনণ করে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সমবায় পরিদর্শক হারুন অর রশিদ। বেলা ১২টার দিকে উপজেলা অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান ও উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা প.প. কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান। বিকেলে স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল ও সন্ধ্যায় অডিটোরিয়াম হলে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর ওস্তাদ আসমত আলী বিশ্বাস ও আক্কাচ আলীর তত্ত্বাবধানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন নাজির হামিদুল ইসলাম। এছাড়াও উপজেলার জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাস্তুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি আয়োজনে ৪৩তম মহান বিজয় দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে অলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে পতাকা উত্তলনের পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, দামুড়হুদা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুর রহমান মালিতা, সম্পাদক আব্দুর রহিম, হউলী ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, সম্পাদক আব্দুর ওয়াহেদ জুড়ান পুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ইদ্রিস আলী, সম্পাদক সাইদুর রহমান লিপ, নতিপোতা ইউনিয়নের সভাপতি রহিদুল, সম্পাদক আবুল কালাম কালাম আজাদ, নাটুদা ইউনিয়নের সভাপতি সামসুল আলম, সম্পাদক ওসমান গনি, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি সদক আবু সাইদ বিশ্বাস, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুর রশিদ, সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপি সম্পাদক আশাপরফুল হক বিপ্লব।
ভ্রাম্যমাণ/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিজ নিজ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেন। এছাড়াও কার্পাসডাঙ্গা কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, ইসলামিয়া (বি.এ) ফাজিল মাদরাসা, হাদিকাতুল উলুম বালিকা মাদরাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বিশ্বাস কিন্ডার গার্টেন, অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেন, ইসলামিয়া প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড বেবি টিচিং সেন্টার, জাগরণীচক্র ফাউন্ডেশন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ, কুতুবপুর, নাটুদা, তালসারী, কানাইডাঙ্গা, পীরপুরকুল্লা, ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ দিবস উদযাপন করে।
নতিপোতা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নতিপোতা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৱ্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, নতিপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জহুরুল হক, প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক ফেরদৌস আলী।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, সকালে দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ ও দর্শনা জাতীয় দিবস উদযাপন পরিষদ পৃথকভাবে বের করে বিজয় ৱ্যালি। ৱ্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেরুজ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অপর্ণ করে। জাতীয় দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক, সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের উপস্থাপনায় শপথবাক্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মজনুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রসাশক দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ। দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভার আয়োজন করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, আলী মুনসুর বাবু, শফিকুল আলম, গোলাম ফারুক আরিফ, হবা জোয়ার্দ্দার প্রমুখ। ৱ্যালিতে অংশ নেয়- আ.লীগ, বিএনপির বাবু খান সমর্থিত পক্ষ, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, জাতীয় পাটি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, দর্শনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দর্শনা সরকারি কলেজ, দর্শনা প্রেসক্লাব, দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দর্শনা ডিএস সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা, অংকুর আদর্শ বিদ্যালয়। এদিকে কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নসহ সকল শ্রমিক সংগঠন যৌথভাবে মহান বিজয় দিবস পালন করেছে। কেরুজ ক্লাব মাঠে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ ও মুক্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে- কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের প্রিন্স সংগঠন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমানের সংগঠন। সভাপতি প্রার্থীদের মধ্যে তৈয়ব আলী, সূর্যসেনা শ্রমজীবী সংগঠনের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, ফারুক আহম্মেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, সবুজ সংগঠন। সকাল ১০টার দিকে দর্শনা অংকুর আদর্শ বিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমানের পরিচালনায় চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মেমনগর রামাযুসের আয়োজনে দিনভর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি হানিফ মণ্ডল, পৌর প্যানেল মেয়র রেজাউল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, সোহরাব হোসেন, আবু ফয়সাল প্রমুখ।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে জীবননগর উপজেলায় ৪৩তম মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জীবননগর পাইলট হাইস্কুল ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী, মাধবখালী সীমান্তে অবস্থিত শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শনী, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত, এতিমদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, অ্যাথলেটিক্স ও ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এছাড়াও আওয়ামীগ কার্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন কর্মসূচি পালন করে। সকাল ৯টায় জীবননগর পাইলট হাইস্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার-ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, জীবননগর পাইলট হাইস্কুল, পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, আলিম মাদরাসা, শাপলকালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দৌলৎগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, জীবননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আশরাফুল মডেল স্কুল, পৌর কিন্ডার গার্টেন, প্রভাতী ল্যাবরেটরি স্কুল, ক্রিসেন্ট ইংলিশ স্কুল, হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসা ও তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এসআই সুব্রত কুমার বিশ্বাস প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, ইউএনও নুরুল হাফিজ ও ওসি হুমায়ুন কবির কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেণ। কুচকাওয়াজ শেষে মনোজ্ঞ শরীরচর্চা প্রদর্শন করে পৌর কিন্ডারগার্টেন প্রথম স্থান অধিকার করে। উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করে। শহরের কেবি মার্কেটে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন গ্রুপ বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালনসহ শহরে বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য ৱ্যালি বের করে। উপজেলা ছাত্রলীগ শহরে বিজয় মিছিল বের করে। এ ছাড়াও গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্কুল ম্যানেজিয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম পচা। খয়েরহুদা কাশেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুরুপসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আমির অধ্যাপক খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সেক্রেটারী মাও. ইসরাইল হোসেন ও মাও. সাজেদুর রহমান।
অপরদিকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে ৪৩তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ ক্যাম্পে মিষ্টি প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলা সীমান্তে অবস্থিত ২৩টি বিওপি ও একটি আইসিপির প্রতিপক্ষ বিএসএফ’র ৩৫টি বিওপি ও একটি আইসিপি ক্যাম্পে মিষ্টি বিতরণসহ বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল এসএম মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বিএসএফ’র ৩৬ ক্যাম্পে মিষ্টি বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সংশ্লিষ্ট বিওপি কমান্ডারগণ। একই সময়ে বিএসএফ’র ১১৩ ও ১৭৩ ব্যাটালিয়ন সদরেও মিষ্টি প্রেরণ করা হয়।
উথলী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জীবননগর উপজেলার উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। সকাল ৮টার দিকে বিদ্যালয় থেকে বিজয় ৱ্যালি বের করা হয়। বেলা ৯টার দিকে বিদ্যালয় চত্বরে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক সালাউদ্দীন কাজল, প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান, শিক্ষক মো. মুনতাজ আলী, মো. রবিউল হক, মওলানা জামাল উদ্দীন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টু, শাহজান আলী লিটন প্রমুখ। এছাড়া উথলী মহাবিদ্যালয়, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উথলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধোপাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পৃথক পৃথক কর্মসুচি গ্রহণ করে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহরের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়িত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টার সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন ও পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার হামিদুল আলম, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সেলিনা আখতার বানু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, পৌর সভার পক্ষে মেয়র আলহাজ মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু, জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে জেলা কমান্ডার বশির আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. ইসমাইল ফারুক, গনপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী মো. আহসান উল্লাহ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম আরা হীরা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল আলম ওরফে সাজ্জাদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, জেলা শ্রমীক লীগের আহ্বায়ক এনামুল হক ও সদস্য সচিব মাহবুব এলাহী, সদস্য নজরুল ইসলাম নজু, জেলা বাস্তুহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলী, শহর বাস্তুহারা লীগের আহ্বায়ক জামান আজিজ বেল্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, মেহেরপুর ফেন্ডস ফাউন্ডেশন, মেহেরপুর থিযেটার, মেহেরপুর সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, পৌর ডিগ্রি কলেজ, অরণী সংগঠন শহরের সরকারি কলেজ মোড়স্থ শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতি সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন। এছাড়া সকাল ৭টায় জেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত শহীদ স্মৃতি সৌধে বিভিন্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতি সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করা হয়।
এদিন সাড়ে ৮টায় মেহেরপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে পতাকা উত্তোলন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। এ সময় মার্চপার্স্টে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার হামিদুল আলম। বেলা সাড়ে ১১টায় মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে জনতার অধিকার হরণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুন্ঠন রখে দাঁড়ান এ আহবান জানিয়ে বেলা ১১টায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে গণৱ্যালি অনুষ্ঠিত হয়। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না আমরা তোমাদের ভুলবো না এ অঙ্গীকারে শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহরের সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মাসুদ অরুনসহ জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আনছার-উল হকের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির অপর অংশ শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়া মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোসলেম আলী, প্রচার সম্পাদক মামলত হোসেন, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
এদিকে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে বেলা সাড়ে ১২টায় টি-২০ ক্রিকেট ও বিকেল ৪টায় প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা চির প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা প্রশাসন একাদশ ও পৌরসভা একাদশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। দুটি খেলাতেই জেলা প্রশাসন একাদশ জয়লাভ করে। বিকেল ৩টায় মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শিশু একাডেমীতে বিকেল সোয়া ৩টায় শিশুদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, সরকারি শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানে উন্নত মানের খাবার প্রদান করা হয়। এদিন বাদ যোহর ও দিনের সুবিধামত সময়ে মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় জাতির সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মোনাজাত ও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় মেহেরপুর টেনিস ক্লাবে বিজয় দিবস টেনিস টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া রাতে সরকারি-বে-সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্ব শাসিত ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচির সুচনা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন। এর পরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুন্তাজ আলী, গাংনী থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম, গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি রমজান আলী ও সম্পাদক তৌহিদ-উদ-দৌলা রেজা এবং সিপিবির জেলা সভাপতি কমরেড জালাল উদ্দীন পুষ্পামাল্য অর্পণ করেন। শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় নীরবতা ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হয়। সকাল ৯টায় গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে পুলিশ, আনছার, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কুজকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক কসরত অনুষ্ঠিত হয়। গাংনী প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক একেএম শফিকুল আলমের পরিচালনায় ফিরে দেখা একাত্তর অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তুলে ধরে ছাত্রছাত্রীরা। যা দর্শকদের ফিরিয়ে নিয়ে যায় একাত্তরে।
এদিকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন পতাতাক উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দলীয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। স্ব স্ব সংগঠনের পক্ষে পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক একেএম শফিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেছুর রহমান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সহসভাপতি ইয়াছিন রেজা, উপজেলা আ.গের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ মোহন, জেলা যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক সোহেল আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক মজিরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আবুল বাশার, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান সিপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক আহম্মেদ, সম্পাদক ইমরান হাবীব, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সহসভাপতি জিয়াউল হক জিয়াসহ নেতৃবৃন্দ।
পতাকা উত্তোলন শেষে মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিশাল বিজয় ৱ্যালি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মকবুল হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে মহান বিজয় দিবস উদযাপনে সকালে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোরাদ আলী, পৌর বিএনপি সভাপতি ইনসারুল হক ইন্সু, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান, পৌর যুবদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ হীল মারুফ পলাশ, উপজেলা বিএনপি প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, পৌর ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সুলেরী আলভীসহ নেতৃবৃন্দ। সকাল সাড়ে আটটার দিকে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা শহীদ মিনারে পুষ্পামাল্য অর্পণ করেন। এদিকে জেলা বিএনপি সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাংনী কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিজয় ৱ্যালি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বর শহীদ মিনারে পুষ্পামাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দিলিপ কুমারের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন। বক্তব্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুন্তাজ আলী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে একটি করে জায়নামাজ তুলে দেয়া হয়। বিকেলে ফুটবল মাঠে মুক্তিযোদ্ধা বনাম উপজেলা পরিষদ একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
আমঝুপি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বারাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগের যৌথ ৱ্যালি শহীদদের স্মরণে ফুলের ডালা প্রদান ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম ফেরদৌস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ান যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মোমিন প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদর থানা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক নূর-উচছাফা প্লাবন, পথসভার সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আল-মামুন ও সাধারণ সম্পাদক রবিন।
মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহেশপুর অডিটোরিয়াম চত্বরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছিমা খাতুন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি নবী নেওয়াজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মালেক গাজী।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মুজিবনগর স্মুতিসৌধ চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কুমার মণ্ডল ও মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম। ৭টায় স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসনে পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মুজিবনগর থানার পক্ষে ওসি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে কমান্ডার আব্দুল জলিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি জিয়া উদ্দীন বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের পক্ষে সভাপতি কামরুল হাসান চাঁদু, উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষে সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, সৈনিক সংস্থা, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। ৯টায় মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্যারেডে সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহ কর্মকর্তা অরুন কুমার মণ্ডল। প্যারেড কমান্ডার মুজিবনগর থানার এসআই মফিদুর রহমানের নেতৃত্বে আনছার, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা প্যারেডে অংশ নেয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। পরে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বেলা ৩টায় মুজিবনগর উপজেলা জামাতের অফিস প্রাঙ্গণে আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামাতের আমির মশিউর রহমান। প্রধান অতিথি জেলা আমির মাও. তাজউদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হুসাইন, জেলা সেক্রেটারি ফারুক হোসেন প্রমুখ।
ডাকবাংলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ডাকবাংলা উত্তর নারায়ণপুর ত্রিমোহনী গ্রিন হাউজের উদ্যোগে গতকাল সকাল ১০টায় বিজয় দিবসের ৱ্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন গ্রিন হাউজের সভাপতি আব্দুল হালিম মিয়া। বক্তব্য রাখেন- ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাজি আব্দুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক হালিম মোল্লা, ফজলুর করিম, শিলু, নুরজামান, নুরমুহাম্মদ প্রমুখ।
মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিজয় দিবসের সুচনালগ্নে সরকারি আধাসরকারি রাজনৈতিক বিভিন্নপ্রতিষ্ঠান শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করেন। মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি নবী নেওয়াজের নেতৃত্বে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছিমা খাতুনের নেতৃত্বে ও উপজেলা আ,লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সাবেক এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চলের নেতৃত্বে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করেন।