আলমডাঙ্গার স্কুলছাত্রী তাহেরা হত্যায় গৃহশিক্ষক রাশেদকে জেলহাজতে প্রেরণ : অপরজন পলাতক

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার স্কুলছাত্রী তাহেরা হত্যার বর্বরোচিত এ ঘটনায় দুজনকে সন্দেহ করেছে এলাকাবাসী। তাহেরার গৃহশিক্ষক রাশেদকে গত রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে চুয়াডাঙ্গায় নেয়। গতকাল সোমবার তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বাড়ি মালিকের ছেলে মাসুদ রানা বাচ্চুকে পাওয়া যায়নি। বাচ্চুর পিতা-মাতাও তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে চাননি। এজন্য ঘটনার পরপরই সকলে তাকেই ঘটনার নায়ক মনে করে। পরে জানা যায় বাচ্চু ঘরেই জানালা-দরজা আটকে শুয়ে ছিলো। রাতে সে বাবুপাড়ায় আত্মীয়ের বাড়ি অবস্থান করে। পরদিন ভোরে পালিয়ে যায়। এছাড়া তাহেরার বান্ধবীদের অনেকেরই অভিযোগ বাচ্চুর বিরুদ্ধে। বাচ্চু তাহেরাকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতো বলে তাদের দাবি। সে কারণেই বাচ্চুকে ঘিরে সন্দেহ ঘনায়। তাকেই সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নিয়েছে।

অন্যদিকে তাহেরার প্রাইভেট মাস্টারও সন্দেহভাজনদের অন্যতম হিসেবেই ধরা হচ্ছে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, শিক্ষক রাশেদ তাকে একা একা দরজা-জানালা বন্ধ করে পড়াতো। তার পড়ানোর টাইম-টেবল ঠিক ছিলো না। সকালে, দুপুরে কিংবা সন্ধ্যায়। আবার ফেলে যাওয়া চশমা কিংবা নোট বই নেয়ার অজুহাতে দিনে একাধিকবার যাওয়া-আসার বিষয়টি অনেকেই সোজাভাবে না দেখে বাকাচোখে দেখছে। মাত্র ১ হাজার টাকায় ২/৩ ঘণ্টা কোন শিক্ষক তাহেরাকে পড়াতেন? এমন প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার এসআই নাজমুল হুদা বলেন, সন্দেহজনক দুজনের মধ্যে ইতোমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতকের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য নেয়া হচ্ছে। শিগগিরই তাকে আটক করা হবে।

Leave a comment