গাড়াবাড়িয়ায় স্বামীর বড় ভাই পিটুনির শিকার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শঙ্করচন্দ্র পুরাতনপাড়ার গৃহবধূ দু সন্তানের জননী লিপি খাতুন বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। সদর হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহ পিতার গ্রাম চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ায় নেয়া হলে সেখানে লাশ দেখতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন স্বামীর বড় ভাই ডিঙ্গেদহের চা দোকানি আক্কাস আলী। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র পুরাতনপাড়ার আব্দুস সাত্তারের সাথে গাড়াবাড়িয়ার ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে লিপি খাতুনের বিয়ে হয়। এদের সংসারে দু সন্তানও আসে। বড় ছেলে লিয়নের বয়স ৮ বছর। ছোট ছেলে লিমনের বয়স দু বছর। সংশ্লিষ্টরা বলেছে, সার কেনার জন্য টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে লিপি স্বামীগৃহে বিষপান করে। বিকেলে বিষপান করলে নেয়া হয় সদর হাসপাতালে। চিকিৎসার এক পর্যায়ে লিপি খাতুন সন্ধ্যায় মারা যায়। মৃতদেহ তার পিতার গ্রামে নেয়া হয়। খবর পেয়ে স্বামীর বড় ভাই আক্কাস আলী সেখানে ছুটে যান। লিপির কয়েক ভাই ক্ষুব্ধ হয়ে মারমুখি হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গণপিটুনি দেয়া হয় তাকে। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে আক্কাস আলীকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

লিপি খাতুনের পিতা পক্ষের লোকজন প্রশ্ন তুলে বলেছে, কোনো মা কি তার দু বছরের সন্তান রেখে বিষপান করতে পারে? এমন কি ঘটলো যে তাকে বিষপান করতে হলো? অবশ্য এসব প্রশ্ন তুললেও গতরাতেই গাড়াবাড়িয়ায় দাফন কাজ সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া করা হয়।