মুজিবনগর প্রতিনিধি: অবশেষে উদ্ধার হয়েছে সেলুন ব্যবসায়ী পরেশ হত্যায় ব্যবহৃত সেই ধারালো অস্ত্রটি। গতকাল বুধবার দুপুরে মুজিবনগর থানা পুলিশ স্বরস্বতী খালে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করে। পরেশ হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ দাস (২৫) পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধারালো অস্ত্রের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর ওই খাল থেকে নিহত পরেশের ব্যবহৃত মোবাইলফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, পরেশ দাসের স্ত্রীর প্রেমিক মানিকনগর গ্রামের আনারুল ইসলাম ওরফে আনার গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়ে জানায় হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রকাশ দাস জড়িত। সে মতে গত ২০ নভেম্বর মুজিবনগর উপজেলার খানপুর গ্রামের মৃত মাদাই দাসের জামাই প্রকাশ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। পরেশ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গতকাল বুধবার সকালে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয় প্রকাশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র (চাকু) স্বরস্বতী খালে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে। সে মতে ওই খালে তল্লাশি চালিয়ে ওই চাকুটি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, মুজিবনগরের বল্লভপুর গ্রামের সেলুন ব্যবসায়ী পরেশকে গত ১৫ নভেম্বর রাতে গ্রামের জোঁকার মাঠের একটি আমবাগানে গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহতের স্ত্রী চম্পা দাসী ওই দিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের নামে মুজিবনগর থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। এর দু দিন পর চম্পা দাসীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়ার বিষয়টি উঠে এলে আনারকে গ্রেফতার করে মুজিবনগর থানা পুলিশ।