হিউসের মৃত্যু ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলো ফিলিপসকে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মাথায় বলের আঘাত পাওয়ার পর ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ওমার ফিলিপস। বাউন্সারে লুটিয়ে পড়ে ফিলিপ হিউসের মৃত্যুই বার্বাডোজের এ ব্যাটসম্যানের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিলো। গত শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া ক্রিকেটে বার্বাডোজ আর উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের ম্যাচে ব্যাট করার সময় হেলমেট পরে থাকার পরও মাথার পেছন দিকে বল লাগে ফিলিপসের। মাঠে কিছু সময়ের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
এর কয়েকদিন আগেই এ ধরণের চোট পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আর ফিরে আসেননি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ব্যাটসম্যান হিউস। ২৫ নভেম্বর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলস ও সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে পেসার অ্যাবটের শর্ট বলে হুক করতে গিয়ে মাথায় বলের আঘাত পান হিউস। সেন্ট ভিনসেন্টস হাসপাতালে মাথায় অস্ত্রোপচারের পরও চেতনা ফিরে পাননি ২৫ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। দুই দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ২৭ নভেম্বর তিনি মারা যান। একই চোট পেয়ে বেঁচে যাওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন ফিলিপস। মিল্টন ক্যাটো মেমোরিয়াল হাসাপাতালে জ্ঞান ফেরার পর হোয়াটসঅ্যাপে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বার্তা দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ক্রিকেটার। এরপর নিজের ভয় পাওয়ার কথা জানান ফিলিপস।
এই ধরণের চোটে একজন ক্রিকেটারের মৃত্যু দেখার পর আমার জন্য অবস্থাটা কঠিনই ছিল। তাই প্রথমদিকে এটাই আমাকে ভোগায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ফিলিপসের মাথার সিটি স্ক্যান করানো হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড বিবৃতি দিয়ে জানায়, রিপোর্টে খারাপ কিছু ধরা পড়েনি। ফিলিপসের মাথায় অবশ্য বোলারের বল আঘাত করেনি। তিনি ছিলেন নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। তার সঙ্গী ব্যাটসম্যানের একটি শট থেকে বল তার মাথার পেছনে গিয়ে আঘাত হানে। ২৮ বছর বয়সী বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফিলিপস ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি টেস্ট খেলেন। দুটিই ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে।