আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: শ্যালোইঞ্জিনচালিত অবৈধযান করিমন গাড়িতে যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে মিশুক ও করিমনচালকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনার জের ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মিশুক আটক ও চালককে বেধড়ক মারপিট করার প্রতিবাদে মিশুকচালক সমিতি দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জীবননগরের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে সন্তোষপুর মোড়ের এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের আলম শাহ ছেলে করিমনচালক স্বপন ওরফে পল্টু শাহ সন্তোষপুর মোড় থেকে করিমনে যাত্রী তুলছিলো। বিধি-নিষেধ থাকায় মিশুক চালকরা প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। বেলা ১২টার দিকে সন্তোষপুর গ্রামের সাইফুর রহমানের ছেলে রাজু (৩০) মিশুকে যাত্রী নিয়ে আন্দুলবাড়িয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে দেহাটি বাজারে পৌঁছুলে করিমনচালক স্বপন ওরফে পল্টু শাহ ও মৃত তোতা শাহ’র ছেলে মফিজসহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জন মিশুকটির গতিরোধ করে চালক রাজুকে টেনেহেঁচড়ে নামিয়ে বেধড়ক মারপিট করে ৩টি মিশুক আটক করে রাখে।
আহত মিশুকচালক রাজু বলেছেন, এ সময় তার পকেটে থাকা ৩ হাজার টাকা ও একটি মোবাইলফোন তারা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মিশুকচালক সমিতির নেতৃবৃন্দ জরুরি সভায় মিলিত হয়ে দেহাটি গ্রামের ৩টি করিমন আটক করে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়। ফলে সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে দুপুরের পর থেকে কোনো যানবাহন চলাচল না করায় যাত্রী সাধারণকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এ ব্যাপারে মিশুক চালক সাইফুর রহমান বাদী হয়ে স্বপন ওরফে পল্টু ও মফিজ শাহসহ আরো অজ্ঞাত নামা কয়েকজনকে আসামি করে জীবননগর থানায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।