উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার অবশ্যই হতাশাজনক। তবে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের স্বনামধন্য শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা এবার আশার আলো জাগিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদে, মেডিকেল কলেজগুলোসহ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের সাফল্যকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। বুয়েটে মেধার ভিত্তিতে সরাসরি ভর্তির সুযোগ সৃষ্টিকারীর সংখ্যা এবার ৬ জন। এ সংখ্যা অতীতের সকল দস্তাবেজ অতিক্রম। ফলে এরা সাধুবাদ পাবার দাবি রাখে। অভিবাদন তোমাদের।
চুয়াডাঙ্গার কিছু শিক্ষার্থী এবার দেশের শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তিযুদ্ধে যেমন মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ করেছে বলে স্বাক্ষর রেখেছে, তেমনই বহু শিক্ষার্থী উত্তীর্ণই হতে পারেনি। পাস-ফেলের হার প্রায় সমানে সমান। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীর অধিকাংশই বেসরকারি মহাবিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী। গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস-ফেলের পরিসংখ্যান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রায় সকলেই ইংরেজিতে ফেল। কেন? তবে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষকেরা অপরিপক্ক? গোড়ায় গলদ? অবশ্যই ফল বিপর্যয়ের কারণ শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার। যে শিক্ষার্থীরা ভালো করছে তাদেরকে উৎসাহিত করা যেমন প্রয়োজন, তেমনই যারা পিছিয়ে পড়ছে তাদের এগিয়ে নিতে বাস্তবমুখি আন্তরিক প্রচেষ্টা অপরিহার্য।
শিক্ষার হার এবং শিক্ষার মান দুটোই দরকার। যে এলাকায় শিক্ষার হার যতো বেশি সে এলাকার সমাজ ততো সুন্দর। আর শিক্ষার মান? যে এলাকার শিক্ষা মানসম্পন্ন সে এলাকার শিক্ষার্থীরা দেশ- বিদেশে প্রতিযোগিতায় শক্ত অবস্থান করে নিতে পারে। আজকের শিক্ষার্থীরাই যেহেতু ভবিষ্যত কর্ণধার, সেহেতু আগামীদিনে উন্নয়নের ধারক বাহক মূলত তারাই। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত। সরকারের উন্নয়নের তালিকার শেষের দিকে থাকে নাম। সব জেলায় হওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে হয়। কেন? সচিবালয় বা মন্ত্রণালয়ে এলাকার পদস্থ কর্তা না থাকা, এর অন্যতম কারণ?