মাথাভাঙ্গা মনিটর: বাংলাদেশি কোম্পানি প্রাণের পণ্যে ইঁদুরের বিষ্ঠা পেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইতালির সীমান্ত কর্তৃপক্ষ। ফলে কোম্পানিটির পণ্যের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সতর্ক বার্তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর আগেও দেশে ও বিদেশে কোম্পানিটির খাদ্যপণ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর ভাইরাস পাওয়া যায়। কোম্পানিটির রফতানি পণ্যে ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ ভাইরাস (খুরারোগ) ও পোকামাকড়ের উপস্থিতি থাকায় গত বছরের শেষের দিকে কানাডা থেকে খাদ্যপণ্য ফেরত আসে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর প্রাণের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দি ইন্টারন্যাশনাল ফুড সেফটি অথরিটিস নেটওয়ার্ক (আইএনএফওএসএএন)।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাণের যেসব কোমলপানীয় ও জুস বাজারে বিক্রি হয়, এর কোনোটিরই গুণগত মান ঠিক নেই। জনস্বাস্থ্যের জন্যও নিরাপদ নয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাণের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্য প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু প্রচার আর প্রসারে শীর্ষে রয়েছে কাদিয়ানিদের এ প্রতিষ্ঠান। সূত্র জানায়, ইঁদুরের বিষ্ঠা ধরা পড়ার পর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই চালানের সব পণ্য জব্দ করে তা অনুমোদনহীন আমদানি বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ২৩ মে ব্যাপিড অ্যালার্ট সিস্টেম ফর ফুড অ্যান্ড ফিড শীর্ষক এক সতর্কবার্তা জারি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে স্বাস্থ্যঝুঁকির উপাদানসহ মানহীন পণ্য রফতানি নিয়ে ওই সতর্কবার্তায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউর হেলথ অ্যান্ড কনজিউমারস ডিরেক্টরেট জেনারেলের কার্যালয়।
সূত্র জানায়, ইতালিতে রফতানি হওয়া পণ্য যাচাই-বাছাই করে দেশটির সীমান্ত কর্তৃপক্ষ। প্রাণ এগ্রো ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির রফতানিকৃত খাদ্যপণ্যের চালানে রোডেন্ট এক্সট্রেমেন্টের (ইঁদুরের বিষ্ঠা) উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর তা জব্দ করা হয়।