প্রশাসকের মেয়াদ বাড়ছে না : জানুয়ারিতে দু ডিসিসি নির্বাচন

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রশাসকদের মেয়াদ আর বাড়ছে না। আগামী বছরের শুরুতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের শুরুতে মহানগরের দু সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৪’র খসড়া প্রস্তাব ফেরত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেন। অপররদিকে এ নির্বাচন ঘোষনাকে বিএনপির সম্ভাব্য আন্দোলন ঠেকানোর কৌশল বলে মন্তব্য রাজনৈতিক পর্যবক্ষকদের অনেকের। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কেবিনেটে দু সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের মেয়াদ ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করার প্রস্তাব পাঠায় স্থানীয় সরকার বিভাগ। বৈঠকে কয়েকজন মন্ত্রী এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। একজন সিনিয়র মন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তার বদলে রাজনৈতিক নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের অভিমত ব্যক্ত করেন। মন্ত্রীদের বিরোধিতার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ডিসিসি নির্বাচনের নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী জানুয়ারি মাসে ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণের তফশিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০২ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আ.লীগ ওই নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নির্বাচন না দিয়ে ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ডিসিসিকে উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। নির্বাচন কমিশন ২০১২ সালের ২৪ মে দু ডিসিসির নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করে তফশিল ঘোষণা করে। কিন্তু উচ্চ আদালতে রিট আবেদনের পর ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। ২০১৩ সালের ১৩ মে উচ্চ আদালত নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও অদ্যাবধি নির্বাচন হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিএনপির আসন্ন সরকার পতনের আন্দোলন ঠেকাতেই সরকার কৌশলে ডিসিসি নির্বাচন দিতে যাচ্ছে।