বিজয়ের মাসে ওরা আসে পতাকা হাতে

মহাসিন আলী: বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশিদের গৌবরের মাস ডিসেম্বর মাস। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। বিজয়ের মাস এসেছে তাই ওরা এসেছে। বিজয়ের মাস এলেই ওদের দেখা মেলে। শুধু তাদের লাভ বা কিছু টাকা আয়ের জন্য নয়। বাঙালি জাতির বিজয়কে মনে করে দিতে ও আরো আনন্দঘন করতে দেশব্যাপি জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে দেয়ায় তাদের কাজ। এদের এমনই একজন রিপন শেখ (২৬)।

২০ বছর বয়স থেকে রিপন শেখ পতাকা বিক্রি করছেন। পেশায় তিনি একজন ফেরিওয়ালা। প্রতি বছরের ডিসেম্বর ও মার্চ মাস এলেই তিনি ফেরি করে জাতীয় পতাকা বিক্রি করে বেড়ান। এবারের ডিসেম্বরেও তিনি জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন। কুষ্টিয়া শহর থেকে গতকাল রোববার সকাল ৯টায় মেহেরপুর শহরে এসেছেন। ফেরি করে বিক্রি করছেন জাতীয় পতাকা। সন্ধ্যায় তিনি আবারও কুষ্টিয়া ফিরে যান। সারাদিন মেহেরপুর শহরের পতাকা বিক্রি করেছেন।

রিপন শেখ জানালেন, বিভিন্ন দোকানে দোকানে এবং মাইক্রোবাস, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ইঞ্জিনচালিত যান ও শ্যালোইঞ্জিনচালিত যান নসিমন, করিমন-আলগানে এসব পতাকা বিক্রি করেছেন। ওই সব যানের চালকরাই শুধু নন এ পতাকা কিনছেন রিকশা-ভ্যান, বাইসাইকেল-মোটরসাইকেল চালকরা। আর সামনে পড়লে শিশুদের কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা কেনে পতাকা ও মাথার পর্টি। শহর ও গ্রামের দোকানের টেবিলে, কিংবা মোটরসাইকেলে, ইজিবাইক, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ইঞ্জিন চালিত যানে বিজয়ের উল্লাসে উড়াচ্ছে এ পতাকা।

তিনি আরো জানালেন, ঢাকার গাজীপুর জেলা থেকে মার্চ ও ডিসেম্বর মাসে পতাকা কিনে আনেন। ফেরি করে বিক্রি করে বেড়ায় বিভিন্ন জেলা ও গ্রাম-গঞ্জে। তিনি ছোট-বড় সব ধরনের পতাকা কিনে নিয়ে আনেন। পরে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলায় ফেরি করে বিক্রি করে থাকেন। বছরের অন্য সময় তিনি কসমেটিক্স ফেরি করে বিক্রি করেন।

রিপন শেখ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার সোহদী গ্রামের আসমত শেখের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সে মেজ। ৫ বছর আগে বিয়ে করেছেন তিনি। সংসারে রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।