দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ৬ যুবক ঘুরতে বেরিয়ে বেকায়দায়
কার্পাসডাঙ্গা/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো কার্পাসডাঙ্গার যুবক বাবু। তার মৃত্যু নিয়ে কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় নানা রকক কানাকানি চলছে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে গোয়ালন্দের নিষিদ্ধ পল্লিতে গিয়ে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবনের ফলে বাবু স্ট্রোক করে মারা যায়। তবে পরিবারের লোকজন বলছেন, স্বাভাবিকভাবেই বাবু স্ট্রোক করে মারা গেছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মাইক্রোবাসযোগে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার ৬ বন্ধু বেড়াতে বের হন। এরই মধ্যে গতকাল শনিবার লাশ হয়ে ফেরেন বাবু। এ নিয়ে শুরু হয় নানা রকম গুঞ্জন। বেড়াতে যাওয়া বন্ধুরা হলেন, কার্পাসডাঙ্গার মুনতাজের ছেলে বাবু (৪৩), ফকির মোহাম্মদের ছেলে হীরক (৩০), আলী আকবরের ছেলে আক্তারুল (৩৪), কোমরপুরের নওশাদের ছেলে মিলন (২৮), কুতুবপুর গ্রামের জালাল শেখের ছেলে তারিক (৩৫), ও আবু জাহের। এদিকে গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে মাইক্রোবাসযোগে বাবুর লাশ আসে তার গ্রামের বাড়ি। বাবুর লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। তবে বাবুর ৫ বন্ধু পথিমধ্যে মাইক্রোবাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়। বাবুর মৃত্যু রহস্য নিয়ে সৃষ্টি হয় ধুম্রজালের। থানায় কোনো মামলা না হওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই বাবুর লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়। তবে কেউ কেউ বলেছে, ছয় বন্ধু মিলে গোয়ালন্দের নিষিদ্ধ পল্লিতে গিয়েছিলেন। তারা ফিরে আসার সময় বাবু স্ট্রোক করে মারা যান। কেউ কেউ বলেছেন, বাড়িতে লাশবাহী মাইক্রোবাসটি পাঠিয়ে দিয়ে বন্ধরা সটকে পড়েন।