বৈঠককারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: গত বৃহস্পতিবার যেসব সরকারি কর্মকর্তা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করেছেন তাদের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের দায়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার গণভবনে অষ্টাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ও মালয়েশিয়া সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে খালেদা জিয়ার সাথে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জনপ্রশাসনের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বৈঠক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি এসব কথা বলেন।

যেসব কর্মকর্তারা খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে গেছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ল উইল টেক ইটস ওউন ফোর্স। আইন তার আপন গতিতে চলবে। কোনো সরকারি কর্মকর্তা যদি আইনের বরখেলাপ করে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ। আগেও হয়েছে। উত্তরা ষড়যন্ত্রের কথা আপনাদের মনে আছে। এ সময় যারা বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে বিধিমালা ভঙ্গ করার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

সরকারি কর্মকর্তা উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নানা ধরনের সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের চাকরির অবস্থান বৃদ্ধি করেছি। কই তিনি (খালেদা জিয়া) ক্ষমতায় থাকাকালে তো কিছুই দেয়নি। সেখানেই যাতায়াতের কারণটা কি? আর সেটা গভীর রাতেই কেন?

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাতের অভিসার বাদ দিয়ে দিনের আলোতে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রীকে বলবো যদি রাতের অভিসার বাদ দিয়ে দিনের আলোতে কাজ করেন সেটা দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। মানুষ জন্যও কল্যাণকর হবে। যাই হোকে রাতে আনাগোনা বন্ধ হওয়া ভালো। এটা মানুষের মনে সন্দেহ জাগায়।

তিনি আরো বলেন, উনি সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা চান না। কখনো ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিচ্ছেন, আবার কখনো চুল উড়িয়ে দিচ্ছেন। আর আমরা দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তার একটা মানসিক বিষয় আছে। দেশের মানুষ যখন শান্তিতে থাকলে উনি অশান্তিতে থাকেন।

অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার আমলে দু লাখ ৬৭ হাজার লোক অবৈধভাবে মালয়েশিয়া গিয়েছিলো। তাদের বৈধতা দিতে কিছু সময় লাগছে। বর্তমানে মালয়েশিয়া সরকারের চাহিদা অনুযায়ী জি-টু-জি চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে লোক পাঠানো হচ্ছে। পাঠানো শ্রমিকদের দেশটির আইন সম্পর্কে ধারণা দেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। তাই শ্রম রফতানি কিছু কমেছে। এ সময় দালালদের খপ্পড়ে পড়ে ছেলে-মেয়েদের বিদেশ পাঠানো বন্ধ করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।