ছিটমহল বিনিময়ে আপত্তি নেই মমতার

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বাংলাদেশের সাথে ছিটমহল বিনিময় করতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে আপত্তি জানিয়ে এলেও অবশেষে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়ে সম্মতির কথা জানিয়েছেন তিনি। গত বুধবার কোচবিহারের করলা ছিটমহলের কাছে একটি জনসভায় এ কথা ঘোষণা করেন তিনি। জনসভায় তিনি বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে দিয়েছি যে বাংলাদেশের সাথে স্থলসীমা চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহল বিনিময়ে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই। আপনাদের এ আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে গেলাম আজ। তিনি আরো বলেন, ছিটমহলবাসীদের পুনর্বাসন আর উন্নয়নের রূপরেখা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব একটি পরিকল্পনা আর দাবি সনদ তৈরি করছেন, যেটা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে শিগগিরই পাঠানো হবে। তবে ভারতীয় জনতা পার্টির আসামের নেতৃত্বের একাংশ, আর অসমীয়া জাতীয়তাবাদী দলগুলো এখনও এই চুক্তির বাস্তবায়নের বিরোধিতা করছেন।

গত রোববারে আসামের গুয়াহাটিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই স্থলসীমা চু্ক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন। তার কিছুদিন আগে ভারতের লোকসভার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে ওই সংবিধান সংশোধনী অনুমোদিত হয়। সেই সভায় এর পক্ষেই মত দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।

১৯৭৪-এ ইন্দিরা গান্ধী আর শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে সই হয়েছিলো স্থলসীমা চু্ক্তি। ওই চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহলগুলো যেমন বিনিময় হওয়ার কথা, তেমনই ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয় আর পশ্চিমবঙ্গে থাকা বেশ কিছু অপদখলীয় ভূমিও বিনিময় হওয়ার কথা। বাংলাদেশের সংসদে ওই চু্ক্তি আগেই অনুমোদিত হয়, কিন্তু ভারতের পার্লামেন্ট তার সংবিধান সংশোধন করাতে পারেনি। এর ফলে চুক্তি হওয়ার ২৫ বছর পরে, ১৯৯৯ সালে চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। চুক্তিটিকে পুনরায় সক্রিয় করার জন্য প্রয়োজন হয় একটি প্রোটোকল চু্ক্তি, যেটা ২০১১ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিঙের ঢাকা সফরের সময়ে সই করে দু দেশ।

Leave a comment