মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল অভ্যন্তরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে দীর্ঘদিন ধরে একই ব্যক্তি ওয়ার্ড ইনচার্জ

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেনারেল হাসপতালে এখন চলছে ওয়ার্ড ইনচার্জদের রাজত্ব। নিয়ম বহির্ভূতভাবে দীর্ঘদিন ধরে ইনচার্জ হিসেবে রয়েছেন অনেকেই। এতে রোগীর সেবার চেয়ে তারা দাপট দেখাতে ব্যস্ত থাকেন বেশির ভাগ সময়। শুধু রোগীরাই নয় বিপাকে রয়েছেন হাসপাতালের কর্মরত বিভিন্ন পদের কর্মচারীরা। এমন অভিযোগ করে ইনচার্জদের অপসারণ দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মা ও শিশু ওয়ার্ডে আজিরন খাতুন, অপারেশন থিয়েটারে সোয়েলা খাতুন, গাইনি/ডেলিভারি ওয়ার্ডে মিনতি মণ্ডল, পুরুষ ওয়ার্ডে নাজমা খাতুন, জরুরি বিভাগে কুদ্দুস (ব্রাদার) ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চামেলী ইয়াসমিন। এদের প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন ধরে ওই পদে রয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডিউটি নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি একাধারে দু বছরের বেশি ওয়ার্ড ইনচার্জ থাকতে পারবেন না। তবে এ নিয়ম শুধু খাতা-কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দীর্ঘদিন ধরে তারা একই পদে থাকলেও হাসপাতাল প্রশাসনের এ নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই।

এদিকে একই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ইনচার্জ থাকায় হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ইনচার্জদের মধ্যে কয়েকজনের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন অন্য নার্স ও কর্মচারীরা। তারা নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেন না। হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে দুর্বব্যবহার করেন। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীরা বারবার উত্থাপন করলেও তাতে কর্ণপাত করেন না হাসপাতাল প্রশাসন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের কর্মরত কয়েকজন অভিযোগ করেন, ওয়ার্ড ইনচার্জদের হাতে শুধু রোগীর সেবা নয় সরকারি অনেক সম্পদ থাকে। রোগীর ওষুধ ও অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বণ্টন করেন তারা। এ বণ্টন নিয়ে সব সময় বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক ডা. নজরুল ইসলাম বেশির ভাগ সময় কর্মস্থলের বাইরে অবস্থান করেন। ইনচার্জদের দৌরাত্ম্য চরম পর্যায়ে পৌঁছুলেও পার পেয়ে যাচ্ছেন ইনচার্জরা। গতকাল ইনচার্জদের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ডা. নজরুল ইসলামের মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Leave a comment