স্টাফ রিপোর্টার: টেস্টের মতো ওয়ানডে সিরিজেও জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের ওপর দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। আর এতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান। ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজের মতো ৫-০ ব্যবধানে জেতা ওয়ানডে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিবই। স্বাগতিক বোলারদের দাপটে প্রথম তিন ম্যাচে দুইশ পর্যন্তই যেতে পারেনি জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ। চতুর্থ ওয়ানডেতে দুইশ পার হলেও পরের ম্যাচেই আবার দাপট দেখায় বোলাররা। সিরিজের শেষ ম্যাচে দেড়শ রানও করতে পারেনি অতিথিরা। পাঁচ ম্যাচে খেলা সাকিব ১২.৩৬ গড়ে নেন ১১ উইকেট; সেরা ৪/৪১। প্রতি ২২.৯ বলে একটি করে উইকেট নেন তিনি। অতিথিদের রান নেয়ার কাজটাও কঠিন করে তুলেছিলেন সাকিব। তার বিপক্ষে পুরো সিরিজে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন না জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। ওভার প্রতি মাত্র ৩.২৩ করে রান দেন সাকিব। আর এর আগে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১৮ উইকেট নেন সাকিব। তিন ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট নেন আরাফাত সানি। এ বাঁহাতি স্পিনার চার উইকেট নেন দুইবার। মাত্র ৭.৮০ গড়ে ১০ উইকেট নেন তিনি। সেরা ৪/২৭। রান দেয়ার ক্ষেত্রে সাকিবের চেয়েও হিসেবী ছিলেন সানি। ২৭.৫ ওভার বল করে মাত্র ৭৮ রান দেন তিনি; অর্থাৎ ওভার প্রতি মাত্র ২.৮০ রান। এই বাঁহাতি স্পিনার প্রতি ১৬.৭ বলে একটি করে উইকেট নেন। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া মাশরাফি বিন মুর্তজা ১৬.৪৪ গড়ে নেন ৯ উইকেট। সেরা ৩/৩৪। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৯টি উইকেট নেন টিনাশে পানিয়াঙ্গারা এবং ৬টি উইকেট নেন টাফাজওয়া কামুনগোজি।