চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি বিদ্যালয়ে বেঞ্চে গাদাগাদি করে পরীক্ষা গ্রহণ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা ২০১৪ গ্রহণ নিয়ে অ্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা। ছোট আকারের বেঞ্চে চারজন করে বসিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করলে অভিভাবকরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদের মুখে পরবর্তী পরীক্ষার দিনগুলোতে দু শিফটে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার ছিলো বার্ষিক পরীক্ষার প্রথম দিন। এদিন ২১টি কক্ষে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এসব কক্ষে ৫৩ থেকে ৮৪ জন করে পরীক্ষায় অংশ নেয়। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে একজন করে শিক্ষক পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তবে প্রতিটি বেঞ্চে চারজন করে ছাত্রকে বসে পরীক্ষার দেয়ার আয়োজন করায় ছাত্ররা চরম বিপাকে পড়ে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রদের সাথে ৬ষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণির ছাত্রদের একই বেঞ্চে পরীক্ষা গ্রহণ করায় নিচের ক্লাসের ছাত্রদের অনেককেই দাঁড়িয়ে পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে। পরীক্ষা গ্রহণের এ আয়োজনকে অব্যবস্থাপনা দাবি করে উপস্থিত অভিভাবকরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন। বিষয়টি তারা প্রধান শিক্ষক ছাড়াও জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুবকে অবগত করান। কর্মকর্তারা বিষয়টি অবগত হয়ে তাৎক্ষণিক জরুরি বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করেন।
ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিশোরী মোহন সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি সদ্য বিদ্যালয়টিতে যোগ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে এক শিফটে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। যে কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এজন্য এক শিফটের পরিবর্তে দু শিফটে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। যা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরকে জানানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আরো জানান, পরীক্ষার পরবর্তী দিনগুলোতে ষষ্ঠ,সপ্তম ও নবম শ্রেণির পরীক্ষা সকাল নয়টা থেকে বেলা ১২টা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষা বেলা সাড়ে ১২টা থেকে তিনটা পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষার সময়সীমা আড়াই ঘণ্টা করা প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় আড়াই ঘণ্টার প্রচলন থাকায় এখন থেকে তা চর্চা করানো হচ্ছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও গতকাল থেকে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয়েছে। এ বিদ্যালয়টিতেও ২১টি কক্ষে পরীক্ষাগ্রহণ করা হয়। তবে ওই বিদ্যালয়ে একটি বেঞ্চে সর্বোচ্চ তিনজন করে বসানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হোসেন বলেন, শিক্ষাবোর্ডের নিয়মানুসারেই আসন বিন্যাস করা হয়েছে।