ঝিনাইদহ তামালতলার যাত্রার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

 

ঝিনাইদহের তমালতলা থেকে ফিরে স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহ তামালতলার গরুর হাটে যাত্রার নামে চলা অশ্লীল নৃত্য ধ্বংস করছে যুবসমাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রভাষক জানান, সংস্কৃতির নামে এখান চলছে অপসংস্কৃতি। উঠতি বয়সের ছেলেরা মোবাইলে রেকর্ড করে নিয়ে যাচ্ছে তা। ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ নগ্ন নৃত্য। যাত্রার অভিনয় তো দূরের কথা সেখানে শুধু নগ্ন নৃত্যই হচ্ছে। আর যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য থেকে স্থানীয় ক্যাম্প ও থানা পুলিশ নিয়মিত উৎকোচ নিচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শৈলকুপার তামালতলার গরুর হাটে গত ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য। রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ যাত্রার নামে এ নগ্ন নৃত্য চলছে ভোররাত পর্যন্ত। নগ্নতা প্রাচত্য দেশকেও হার মানাবে। সরেজমিন দেখা গেছে যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য পুলিশের উপস্থিতিতে হচ্ছে। নতর্কীদের বিছানায় গিয়ে তামালতলা ক্যাম্পের পুলিশ আড্ডা দিচ্ছে। মাঝে মধ্যে শৈলকুপার থানার অফিসার ইনচার্জ সগীর মিয়াকে মেলা মাঠে দেখা যায় বলে অনেকেই জানান। নর্তকীরা মঞ্চ থেকে নিচে নেমে দর্শকদের বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক অঙ্গভঙ্গি করছে।

এদিকে এ যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্যকে ঘিরে মদ, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। এ কিছু হওয়ার পরও শৈলকুপা থানা পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে। গুঞ্জন রয়েছে আয়োজকরা মোট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে শৈলকুপার থানার অফিসার ইনচার্জ সগীর মিয়াকে ম্যানেজ করে এতো কিছু করছে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ শৈলকুপার থানার অফিসার ইনচার্জ সগীর মিয়া সাথে যোগাযোগ করতে গেলে গানের শব্দ শোনা যায়। আর তিনি বলেন, আমি শব্দের মধ্যে আছি রাত ১১টার পরে ফোন দেন। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের সাথে যোগযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম জানান, যে যাত্রা হচ্ছে সেটা বাংলাদেশ শিল্পকলা থেকে নিবন্ধিত যাত্রা দল। কোনো প্রকার নগ্নতা নৃত্য হলেই তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। এ জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।