মেহেরপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

সভাপতি-সম্পাদকসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী প্যানেলে ১১ ও আওয়ামী আইনজীবী ৪ জন জয়ী

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি-২০১৫’র নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাড. আনোয়ার হোসেন সভাপতি ও অ্যাড. আসাদুল আযম খোকন সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জন বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে সম্মলিত আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সহসভাপতি পদে অ্যাড. আব্দুল কুদ্দুসসহ ৪ জন বিজয়ী হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং এক ঘণ্টা বিরতি শেষে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে। নির্বাচনে মোট ১৫টি পদে ৩১ জন প্রাথী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১১২ জন ভোটারের মধ্যে ১০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাড. আনোয়ার হোসেন ৫৫ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাড. খন্দকার একরামুল হক হীরা ৪৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাড. আসাদুল আযম খোকন ৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সম্মিলিত আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের অ্যাড. একেএম শফিকুল আলম ৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন ২৭ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অন্যরা হলেন- সহসভাপতি পদে অ্যাড. জাহামত আলী ৫৯ ভোট পেয়ে সহসভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. নজরুল ইসলাম ৫১ ও অ্যাড. আব্দুল আলিম ৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাড. রফিকুল ইসলাম ৪৯ ভোট, পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাড. একেএম জিল্লুর রহমান ৫৭ ভোট এবং নির্বাহী সদস্য পদে অ্যাড. হাসান মাহাবুবুর রহমান ৫০ ভোট, অ্যাড. মুনিরা হাসান মিলি ৫২ ভোট, অ্যাড. নজরুল ইসলাম মণ্ডল ৫৮ ভোট ও অ্যাড. এহান উদ্দীন মনা ৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সম্মিলিত আওয়ামী আইনজীবী পরিষদে ৪ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি পদে অ্যাড. আব্দুল কুদ্দুস ৫৩ ভোট এবং নির্বাহী সদস্য পদে অ্যাড. একেএম আছাদুজ্জামান ৪৯ ভোট, অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল-মামুন রাসেল ৫৯ ভোট ও অ্যাড. কেএম নূরুল হাসান রঞ্জু ৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন অ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক এবং নির্বাচনে তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাড. বিমল কুমার বিশ্বাস ও অ্যাড. মো. শফিউদ্দিন।