ফলোআপ : আলমডাঙ্গার এনায়েতপুরে যৌতুকের বলি লাইলির স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে থানায় মামলা

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের এনায়েতপুরে সেনা সদস্য স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। রাতে গৃহবধূ ১ সন্তানের জননী লাইলী ওরফে কুমকুমকে শ্বসরোধ করে হত্যা করে পাশের পরিত্যক্ত ঘরে বাঁশেঁর মইয়ের সাথে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। আত্মহত্যার নাটক সাজানো স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে লাইলির পিতা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছে।

জানা গেছে, গত ৪ বছর আগে আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউনিয়নের চরপাড়া এনায়েতপুরের আহসানের ছেলে সেনা সদস্য শুকুর আলীর (২৮) সাথে একই উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের পারদুর্গাপুর গ্রামের শামসুল জোয়ার্দ্দারের মেয়ে লাইলী সুলতানার (২৩) বিয়ে হয়। বিয়ের যৌতুক হিসেবে দাবিকৃত মোটরসাইকেল দেয়া হয়। তাদের কন্যাসন্তান সাদিকা সুলতানা উর্মির বয়স এখন ২ বছর। লাইলির পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিকৃত মোটারসাইকেল দেয়া হয়। কিছুদিন পর লাইরির ভাই সেই মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেল হারিয়ে ফেলে। এর ফলে তার শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে লাইলিকে মানসিক নির্যাতন করে। গত ৫ দিন আগে কুমিল্লা সেনা ক্যান্টনমেন্টে চাকরিরত সেনা সদস্য শুকুর আলী ছুটিতে বাড়িতে আসেন। গত বুধবার রাত ৩টার দিকে সেনা সদস্য শুকুর আলী স্ত্রী লাইলিকে মারপিট করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। লাশ মইয়ের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে থাকে। সকালে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠায়। গতকাল লাইলির পিতা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় যশোর সেনা ক্যান্টনমেন্ট থেকে একটি সেনাবাহিনীর টিম এসে শুকুর আলীকে আটক করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সেনা সদস্য শুকুর আলীর পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে জানান, স্বামীর ওপর অভিমান করে লাইলি বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে মইয়ের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। একটি মহল মিথ্যা কুৎসা রটিয়ে তাদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে।