জীবননগর সোনালী ব্যাংক শাখার ক্যাশিয়ারের দম্ভোক্তি

লটারির টিকিট বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত : বিড়ম্বনায় গ্রাহকরা

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর সোনালী ব্যাংক শাখার এক ক্যাশিয়ার টাকা জমা নেয়ার সময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক ছাড়া লটারির টিকিট বিক্রি করতে কাজ না করার হুমকি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে চালানের মাধ্যমে টাকা জমাদানকালে লটারির টিকিট না কিনলে টাকা জমা নেয়া হবে না বলে গ্রাহকদের এ হুমকি প্রদান করা হয়।

গ্রাহকদের অভিযোগ, জীবননগর সোনালী ব্যাংক শাখার ক্যাশিয়ার রবিউল হোসেন (৪৩) ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসা গ্রাহকদের নিকট থেকে ২০ টাকা মূল্যের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্তৃক ছাড়া লটারির টিকিট না কিনলে টাকা জমা নিতে অস্বীকৃতি জানান। শুধু অস্বীকৃতি নয়, টাকা জমাদানের চালান ফরম হাতে নিয়েও টিকিট না কিনার দরুন চালানটি গ্রাহকে ফেরত দিয়ে দেন। এ ঘটনায় গ্রাহকেরা বাধ্য হয়ে ২০ টাকা মূল্যের এ লটারির টিকিট কিনে ব্যাংকে টাকা জমা প্রদান করছেন। অনেকেই মনে করছেন এটা হয়তো বাধ্যতামূলক। এরই মধ্যে সচেতন এক গ্রাহক লটারির টিকিট কিনতে না চাইলে ক্যাশিয়ার রবিউল হোসেন টাকা জমা নেবেন না বলে গ্রাহকের চালান ফরমটি ছুঁড়ে ফেলে দেন এবং বলেন লটারির টিকিট না কিনলে আপনার কোনো কাজ করা হবে না। টাকা জমা নেয়ার সাথে লটারির টিকিট কেনা বাধ্যতামূলক কি-না জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ লটারির টিকিট কেনা বাধ্যতামূলক। না কিনলে আপনার টাকা জমা নেয়ার কোনো কাজ করা হবে না।

এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক জীবননগর শাখার ম্যানেজার খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমদিত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্তৃক ছাড়া লটারির টিকিট গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। গ্রাহকেরা লটারির টিকিট কেনবেন কি-না এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এটা একান্তই গ্রাহকের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে। লটারির এ টিকিটের সাথে ব্যাংকের কার্যক্রমের কোনো সম্পর্ক নেই। যেহেতু ক্যশিয়ার ব্যাংকের চাকরি করেন তাকে অবশ্যই ব্যাংকে জমা দিতে আসা গ্রাহকদের নিকট থেকে টাকা জমা নিতে হবে। লটারির টিকিটের সাথে টাকা জমা না নেয়ার কোনো ব্যাধ্যবাধকতা নেই। গ্রাহকদেরকে এ ধরনের হয়রানি করার কারণে ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ব্যাংক ম্যানেজার জানিয়েছেন।