কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: জাতিসংঘ বিশ্ব কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (এফএও) এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য নেটওয়ার্কের (বিএফএসএন) আয়োজনে হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের পরিচালনায় কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি প্রাথমিক বিদালয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রচারাভিযান এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৩৩০ জন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সকালে কালীগঞ্জের বলিদাপাড়াস্থ সুনিকেতন পাঠশালা প্রাঙ্গণে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফএও বাংলাদেশ ফুড সেফটি প্রজেক্টের চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ড. জন রাইডার ও সিনিয়র ন্যাশনাল অ্যাডভাইজার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. শাহ মনির হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউট (ইরি) সাবেক কান্ট্রি রিপ্রেজেনট্রিভ ড. এম জয়নুল আবেদীন, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. জাহাঙ্গীর সিদ্দীক ঠাণ্ডু, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন, বিসেফ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. মনোয়ার হোসেন এবং হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডেরর কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউর রহমান মিটন, সিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইউনুস আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর তত্ত্বাবধানে ও নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতায় জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (এফএও) কর্তৃক বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় দেশের মানুষের নিরাপদ খাদ্য পাওয়ার অধিকার ও সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য নেটওয়ার্ক গঠিত হয়েছে। জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সর্বস্তরে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, পুষ্টিমান সমৃদ্ধ দেশীয় স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি প্রাথমিক বিদালয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রচারাভিযান এবং একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলো। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ৩৩০ জন বিজয়ীকে সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়।