রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ৪ সপ্তা আগাম জামিন শেষে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ : স্থায়ী জামিনের আবেদন : জামিন নামঞ্জুর
দামুড়হুদা প্রতিনিধি/অফিস: দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাও. আজিজুর রহমান ও দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন জামায়াতের আমির প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টনকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তৈয়ব আলী তা নামঞ্জুর করে তাদের উভয়কেই জেলহাজতে আটক রাখার আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে সন্ধ্যায় দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন জামায়াতের আমির প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টনের বাড়িতে জামায়াতের ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মী সরকারবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য গোপন বৈঠক করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশ মিল্টনের বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির সীমানা পাঁচিল টপকে দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ইউপি চেয়ারম্যান শরীফুল আলম মিল্টন। পুলিশ এ সময় তার বাড়ি তল্লাশি করে ২টি সাটারগান, ৪টি ককটেল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৭টি জোহদি বই ও শতাধিক লিফলেট উদ্ধার দেখিয়ে প্রভাষক মিল্টনকে আটক করে।
এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আবু জাহের ভূঁইয়া বাদী হয়ে জামায়াত শিবিরের ২১ নেতাকর্মীর নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রুজু করার অনুমতি চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাও. আজিজুর রহমান (৫৫), দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দর্শনা পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল কাদের (৫০), দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের আমির নায়েব আলী (৪৮), দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইউনিয়ন জামায়াতের আমির শরীফুল আলম মিল্টনসহ জামায়াত-শিবিরের ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রুজু করেন।
এ মামলায় উপজেলা চেয়াম্যান আজিজুর রজমান ও ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টন গত ২৭ অক্টোবর উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) থেকে ৪ সপ্তার আগাম জামিন পান। ৪ সপ্তার আগাম জামিন শেষ হওয়ার আগের দিন অর্থাৎ গতপরশু সোমবার মাও. আজিজুর রহমান ও দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শরীফুল আলম মিল্টন আদালতে হাজির হন এবং স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক শুনে তৎক্ষণিকভাবে কোনো আদেশ না দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার আদেশ দেয়া হবে বলে জানান।
গতকাল মঙ্গলবার তাদের ওই ৪ সপ্তার জামিনের সময় শেষ হলে তারা উভয়ই আদালতে হাজির হয়ে আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে আটক রাখার আদেশ দেন। একই মামলায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দর্শনা পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল কাদের (৫০) ও দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের আমির নায়েব আলীকে পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের উভয়কেই জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। তারা উভয়ই এখনও পর্যন্ত জেলহাজতে রয়েছেন।