চোরাকারবারী রেন্টুর হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়েও ছেড়ে দেয়া হয়?

দর্শনা পুলিশের হাতে প্রাইভেটকারসহ রুপ উদ্ধারের ঘটনায় ফাস হচ্ছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

 

দর্শনা অফিস: দর্শনা পুলিশের হাতে প্রাইভেটকারসহ রুপো উদ্ধারের ঘটনার যতো দিন যাচ্ছে, ততোই ফাঁস হচ্ছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রুপোর মালিক রেন্টুকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গ্রেফতার করে হাতে পরিয়েছিলো হ্যান্ডকাপ। কেন ছেড়ে দেয়া হয়েছে রেন্টুকে? আসলে কতো কেজি রুপো ছিলো ওই প্রাইভেটকারে? কেন কারো বিরুদ্ধে পুলিশ দায়ের করেনি মামলা? এ প্রশ্ন যেন সকলের মুখে মুখে।

জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে দর্শনা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এএসআই জিয়াউর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুজন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালান দর্শনা পরানপুর-লোকনাথপুর সড়কে। দামুড়হুদা থেকে দর্শনার উদ্দেশে আসা (ঢাকা-মেট্রো-গ-১২-৮৬১৯) প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, প্রাইভেটকার থেকে গ্রেফতার করা হয় দর্শনা পুরাতন বাজারের ইসলাম জুয়েলার্সের মালিক রাজিউল ইসলাম ওরফে রেন্টুকে। ঘটনাস্থলে রেন্টুর হাতে পুলিশ হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়। ঠিক সে সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছান দামুড়হুদা থানার এসআই মহব্বত হোসেন। মহব্বত সিনিয়র অফিসারের ক্ষমতা দেখিয়ে এএসআই জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে প্রাইভেটকারসহ আসামি থানায় নেয়া কথা বলা হয়। এসআই মহব্বত ঘটনাস্থলেই রেন্টুকে ছেড়ে দেন। রেন্টুকে কেন কি কারণে কার ইশারায় ছেড়ে দিয়েছে এখন অনেকেরই কাছে তা পরিষ্কার। তবে টাকার অঙ্ক কতো ছিলো তা এখনো পরিষ্কার হয়নি। এদিকে থানা পর্যন্ত প্রাইভেটকার পৌঁছাতে পৌঁছাতে ১০ কেজি রুপোর স্থলে ৪ কেজি ২শ রুপো কীভাবে হয়েছে সে কথাও এখন অজানা নেই কারো। রেন্টুকে রুপা ও প্রাইভেটকারসহ গ্রেফতারের পরও পুলিশ কেন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেনি এ কথা জানার জন্য এসআই মহব্বত আলীকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার পর থেকে রেন্টুর বাবা ইকরামুল হকের দৌঁড়ঝাঁপই ছিলো মামলা থেকে রেন্টুর নাম বাদ পড়ার মূল কারণ। ইকরামুল হক ছেলেকে রক্ষা করে এখন উঠে পড়ে লেগেছেন পুলিশের কবজা থেকে প্রাইভেটকারটি ছাড়াতে। আসলে কি প্রাইভেটকার ছাড়াতে পারবে কি-না তা দেখার অপেক্ষামাত্র।